দিল্লিতে আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের সঙ্গে প্রিয়ঙ্কা। নিজস্ব চিত্র
পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে ভোট প্রচার শুরু করলেন অমিত শাহেরা। কিন্তু প্রথম দিনে ভিড়ই জুটল না। এ বার পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের সমস্যা নিয়ে সক্রিয় হলেন রাহুল গাঁধী-প্রিয়ঙ্কাও।
চলতি সপ্তাহেই ফের উত্তরপ্রদেশ যাচ্ছেন প্রিয়ঙ্কা। বুধবার তাঁর অযোধ্যাতেও যাওয়ার কথা। তার আগে দিল্লিতে তিনি দেখা করলেন উত্তরপ্রদেশের আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের সঙ্গে। পরে তিনি জানালেন, উত্তরপ্রদেশে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের ৯ মাসের দায়িত্ব নেন আশা কর্মীরা। কিন্তু মাসে মাত্র ৬০০ টাকা ভাতা পান তাঁরা। ‘জুমলা’ নয়, জবাব দরকার আশা কর্মীদের। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরাও রাজ্য সরকারের কর্মীর মর্যাদা চাইছেন। বিজেপি সরকার তাঁদের দুঃখ বোঝার বদলে লাঠিচার্জ করেছে। প্রিয়ঙ্কা বলেন, ‘‘আমার বোনেদের লড়াই আমারও লড়াই।’’
মানুষের সঙ্গে, বিশেষ করে মহিলাদের সঙ্গে প্রিয়ঙ্কা যে সহজে মিশে যেতে পারেন, আজই এক সাক্ষাৎকারে তা বলেছেন রাহুল। জনসভাতেও ‘আমার বোন’ দিয়ে বক্তৃতা শুরু করেন প্রিয়ঙ্কা। উত্তরপ্রদেশে প্রথম দফার ভোট শুরু হচ্ছে রাজ্যের পশ্চিম প্রান্ত থেকে। সে কারণে আজ অমিত শাহ, যোগী আদিত্যনাথ থেকে রাজনাথ সিংহ, সুষমা স্বরাজরাও প্রচার করেন পশ্চিম প্রান্তে। কিন্তু এই অঞ্চলেই আখ চাষিদের দশ হাজার কোটি টাকা বকেয়া পড়ে।
আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
রাহুল গাঁধীও বিজেপি সরকারকে ঠেস দিয়ে বলেন, ‘‘নিজেদের ব্যর্থতার সাজা কেন কৃষকদের উপর চাপাচ্ছেন? কৃষকদের ওপর অত্যাচার আসলে দেশের উপরে অত্যাচার। কৃষকদের অসম্মান করা কখনওই দেশভক্তি হতে পারে না!’’ প্রিয়ঙ্কাও টুইট করে বলেন, ‘‘চাষিদের পরিবার দিন রাত মেহনত করে। কিন্তু উত্তরপ্রদেশ সরকার তাঁদের বকেয়া মেটানোর দায়িত্ব নেয় না। যার ফলে চাষির সন্তানদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ফসলের দাম— কিছুই মেলে না।’’ এর পরেই মোদীকে এক হাত নিয়ে বলেন, ‘‘এই চৌকিদার শুধু ধনীদের জন্য কাজ করেন। গরিবদের পরোয়া নেই তাঁর।’’ প্রিয়ঙ্কাদের জবাব দিয়ে যোগী বলেন, ‘‘৫৭ হাজার কোটি টাকা আখ চাষিদের দেওয়া হয়েছে। আগের এসপি-বিএসপি সরকারই তাঁদের উপেক্ষা করেছে।’’