—ফাইল চিত্র।
গণতন্ত্রের মহোৎসবে কেউ যেন বাদ না-পড়েন। এটাই জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত লক্ষ্য। সেই সঙ্গে তারা চাইছে, পরিবেশ দূষণের ক্ষেত্রেও দৃষ্টান্ত হয়ে উঠুক আসন্ন লোকসভা নির্বাচন। সে-ক্ষেত্রে পদক্ষেপ করুক বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও। রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্য নির্বাচনী অফিসারদের (সিইও) বিষয়টি জানিয়েছে কমিশন।
কমিশন চায়, এক বার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের পরিবর্তে পুনর্ব্যবহারযোগ্য, প্রাকৃতিক তন্তুর ব্যবহার বাড়ানো হোক। কারণ, এক বার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক দ্রব্য প্রচারে (ফ্লেক্স, হোর্ডিং, ব্যানার) ব্যবহার করা হলে তাতে দূষণের মাত্রা অনেক বাড়ে। শুধু পরিবেশ নয়, জলদূষণও বাড়ায়। সেই জন্যই প্রাকৃতিক তন্তু কিংবা পুনর্ব্যবহারযোগ্য কিছুর মাধ্যমে প্রচার করুক রাজনৈতিক দলগুলি।
এমনকি, সিইও দফতরের তরফে ভোট সংক্রান্ত যেসব প্রচার দ্রব্য ব্যবহার করা হয়, সেখানেও প্রাকৃতিক উপাদানের ব্যবহার বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। আর তা মানুষের স্বাস্থ্য এবং পরিবেশের কথা মাথায় রেখেই এই ধরনের একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বর্জনের কথা বলছে কমিশন। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিও আর্জি রয়েছে তাঁদের। এক কর্তার কথায়, ‘‘লোকসভা নির্বাচনে শুধুমাত্র যত বেশি সম্ভব ভোটারের অংশগ্রহণেই দৃষ্টান্ত তৈরি নয়। পরিবেশের ক্ষেত্রেও লোকসভা নির্বাচন পথ দেখাক। আর সকলে মিলে চেষ্টা করলে তা হবে।’’
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে হুগলিতে ভোট সংক্রান্ত প্রচারে পাটের ব্যবহার করে পথ দেখিয়েছিলেন তৎকালীন জেলাশাসক সঞ্জয় বনশল। তেমনই সূত্রের খবর। যদিও সেই সময়ে রাজনৈতিক দলগুলি অবশ্য এই ধরনের পদক্ষেপ করেনি। শুধুমাত্র জেলা প্রশাসনের তরফে প্লাস্টিকের পরিবর্তে পাটের উপাদান দিয়েই প্রচার সেরেছিল জেলা প্রশাসন।