তেজবাহাদুর যাদবের প্রার্থী পদ খারিজ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের জবাব তলব করল সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, এই ব্যাপারে তেজবাহাদুরের অভিযোগ খতিয়ে দেখে আগামী কালের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে কমিশনকে।
বারাণসী লোকসভা কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী হবেন বলে প্রথমে জানিয়েছিলেন বিএসএফ থেকে বরখাস্ত জওয়ান তেজবাহাদুর। পরে তাঁকে প্রার্থী করে সমাজবাদী পার্টি (এসপি)। কিন্তু গত বুধবার (১ মে) তেজবাহাদুরের মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেয় কমিশন। তাদের দাবি অসঙ্গতি রয়েছে তেজবাহাদুরের মনোনয়নে। তেজবাহাদুরের দাবি, মোদীর সুবিধা করে দেওয়ার জন্যই অন্যায় ভাবে তাঁর মনোনয়ন বাতিল করেছে কমিশন। তাঁর মনোনয়ন বাতিলের বিরুদ্ধে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন তেজবাহাদুর। এ দিন তাঁর হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ।
বিএসএফের জওয়ান থাকাকালীন খাবারের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন তেজবাহাদুর। তদন্তের পরে বিএসএফ থেকে বরখাস্ত করা হয় তাঁকে। তেজবাহাদুরের মনোনয়ন বাতিল করার কারণ হিসেবে কমিশন জানিয়েছে, রাজ্য বা কেন্দ্রের কোনও কর্মী দুর্নীতি বা দেশের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতার জন্য বরখাস্ত হলে পাঁচ বছরের জন্য তিনি কোনও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হতে পারেন না।
তবে প্রশান্ত ভূষণের দাবি, কাউকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হলেই তাঁর ভোটে লড়ার অধিকার কেড়ে নিয়ে পারে না কমিশন।
মনোনয়ন নিয়ে এই ডামাডোলের মধ্যেই একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করে বিজেপি অভিযোগ করেছে, ৫০ কোটি টাকা দিলে মোদীকে খুন করবেন বলে জানিয়েছিলেন তেজবাহাদুর। বিষয়টি নিয়ে বিরোধীরা চুপ কেন, সেই প্রশ্নও তুলেছে বিজেপি।