ফাইল ছবি।
লোকসভা ভোটের শেষ দফার মুখে আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অস্বস্তিকর অবস্থার মধ্যে পড়তে দিল না কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক। নোটবন্দি অভিযানের পর এখন ভারত ও সুইৎজারল্যান্ডে কী পরিমাণ কালো টাকা বাজারে রয়েছে, তথ্য জানার অধিকার আইনে (আরটিআই) আসা এমন একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বীকার করল অর্থ মন্ত্রক। জানাল, এমন কোনও হিসাব মন্ত্রকের কাছে নেই। আর গোপনীয়তার স্বার্থে সব কিছু জানানোও সম্ভব নয়। ২০১৬-র নভেম্বরে নোটবন্দি অভিযানের ঘোষণা করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানান, দেশের কালো টাকা উদ্ধারই এর প্রধান উদ্দেশ্য। তার পর গত বছর সংসদে পেশ হওয়া রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রিপোর্ট থেকে জানা যায়, নোটবন্দির সময় যে মূল্যের ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাজারে ছিল তার ৯৯ শতাংশেরও বেশি সরকারের ঘরে জমা পড়েছে। ওই রিপোর্টের পরেই প্রশ্নটা আরও জোরালো হয়ে ওঠে, তা হলে নোটবন্দি অভিযানের সুফল কী মিলল?
সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের এক সাংবাদিকের আরটিআই প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, ‘‘তদন্তের সূত্রে এই ধরনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ভারত ও সুইৎজারল্যান্ড সরকার তথ্য বিনিময় করে। সেই সব প্রক্রিয়া এখনও শেষ হয়নি। এই পরিস্থিতিতে গোপনীয়তার স্বার্থে কিছু জানানো যাবে না।’’
কালো টাকা সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য, সংস্থা ও ব্যক্তিদের নামধাম সুইৎজারল্যান্ড থেকে কেন্দ্রীয় সরকার যা যা জানতে পেরেছে, আরটিআই প্রশ্নে ওই সাংবাদিক তা সবিস্তারে জানতে চেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন- বিজেপি কখনও বলেনি ১৫ লাখ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকবে, অবস্থান বদলে জবাব রাজনাথের
আরও পড়ুন- বিদ্যুৎ, পিন, কার্ড, কিছুই লাগবে না, এটিএম থেকে টাকা তুলতে পারবেন নিরক্ষরও
সুইৎজারল্যান্ডের ব্যাঙ্কগুলিতে কোন কোন ভারতীয়ের কী পরিমাণ কালো টাকা জমা রয়েছে, সে ব্যাপারে নিয়মিত তথ্য বিনিময়ের জন্য ২০১৬-র নভেম্বরে ভারত ও সুইৎজারল্যান্ড সরকারের মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছিল।