—ফাইল চিত্র।
ফুলে সাজানো দাঁড়িপাল্লা আর বাক্সভরা লাড্ডু নিয়ে অপেক্ষায় ছিলেন দলীয় কর্মীরা। নেত্রী আসা মাত্র তাঁকে বসানো হবে দাঁড়িপাল্লার এক দিকে। অন্য দিকে চাপানো হবে লাড্ডু। তার পর নেত্রীর ওজনের সমপরিমাণ লাড্ডু বিলি করা হবে কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে। উত্তর ভারতের রাজনীতিতে এই রীতি নতুন কিছু নয়। তাবড় নেতাদের এমন ছবি চোখেও পড়ে হামেশা। তবে এ ক্ষেত্রে মিলল না চেনা ছবি। কর্মীদের প্রস্তাব সবিনয়ে প্রত্যাখ্যান করে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বরং রসিকতার সুরেই বললেন, ‘‘আমার ওজন কি এক কুইন্টালের (১০০ কেজি) বেশি নাকি?’’ তাঁর এই রসিকতায় হেসে গড়িয়ে পড়েন সমর্থকেরা।
সক্রিয় রাজনীতিতে আসার পরে প্রথম থেকেই কিছুটা ছকভাঙা প্রিয়ঙ্কা। গুজরাতে তিনি জনতাকে ‘বহনোঁ অউর ভাইয়োঁ’ বলে সম্বোধন করে বক্তৃতা শুরু করেছিলেন। সচরাচর যার উল্টোটাই শোনা যায় রাজনৈতিক নেতাদের মুখে। রাজনীতিতে যেখানে মহিলামাত্রেই শাড়ি পরেন, সেখানে টুইটারে জিন্স-টি-শার্ট-জুতোয় প্রিয়ঙ্কার ছবি নজর কেড়েছিল সবার।
জানুয়ারিতে পূর্ব উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব পাওয়ার পরে এই নিয়ে দ্বিতীয় দফায় প্রচারের জন্য তিন দিনের সফরে গিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক। অমেঠী, রায়বরেলী হয়ে অযোধ্যায় যাবেন তিনি। গত কাল রাতে ভাই রাহুল গাঁধীর লোকসভা কেন্দ্র অমেঠীতে প্রচার সারেন তিনি। সেখান থেকেই রওনা হয়ে যান মা সনিয়া গাঁধীর কেন্দ্র রায়বরেলীতে। পথে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলার জন্য এসইউভি থেকে নামেন প্রিয়ঙ্কা। তাঁকে ঘিরে ধরেন উৎসাহী জনতা। তাঁদের দিকে হাসিমুখে হাতও নাড়েন তিনি। তখনই স্থানীয় কংগ্রেস নেতারা লাড্ডু বিতরণের রীতির জন্য তাঁর ওজন মাপার তোড়জোর শুরু করেন। কিন্তু দাঁড়িপাল্লায় বসার প্রস্তাব ফিরিয়ে হাসতে হাসতেই বলেন, ‘‘আপনাদের কি মনে হয় আমার ওজন এক কুইন্টালের বেশি?’’ প্রিয়ঙ্কার ওই উত্তরে হাসিতে ফেটে পড়েন সবাই। এর পর স্থানীয় এক নেতাকে প্রিয়ঙ্কা বলেন, ‘‘আপনিই বসে পডুন না।’’