মধ্যপ্রদেশের বিজেপি প্রার্থী গুমান সিংহ ডামোর। ছবি: সংগৃহীত।
জওহরলাল নেহরু, রাজীব গাঁধীর পর এ বার মহম্মদ আলি জিন্না! নির্বাচনী প্রচারে জিন্নার প্রসঙ্গ তুলে বিতর্কে জড়ালেন মধ্যপ্রদেশের বিজেপি প্রার্থী গুমান সিংহ ডামোর। তিনি দাবি করেন, জিন্না দেশের প্রধানমন্ত্রী হলে দেশ ভাগ হত না। পরে অবশ্য বিজেপি নেতা দাবি করেছেন, তাঁর বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে।
লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে কংগ্রেসকে নিশানা করতে নেহরু, রাজীবকে টেনে আনতে দ্বিধা করছেন না নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহেরা। এ বার কংগ্রেস এবং নেহরু-গাঁধী পরিবারকে নিশানা করতে গিয়ে জিন্নাকে টেনে এনেছেন ডামোর। তিনি বলেন, ‘‘জওহরলাল নেহরু যদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার চেষ্টা না করতেন, তা হলে মহম্মদ আলি জিন্না ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হতেন। সেটা হলে দেশ ভাগ হত না। স্বাধীনতার সময় নেহরু যদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য জোরাজুরি না করতেন, তা হলে দেশ ভাগের মতো পরিস্থিতি তৈরিই হত না।’’ দেশ ভাগের দায় কংগ্রেসের উপর চাপিয়ে ডামোর আরও বলেন, ‘‘জিন্না এক জন আইনজীবী এবং শিক্ষিত ব্যক্তি ছিলেন।’’
বিজেপি প্রার্থীর ওই মন্তব্যের পর বিভিন্ন মহলে সমালোচনা শুরু হয়। ওই কেন্দ্রে ডামোরের প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের কান্তিলাল ভুরিয়া বিজেপি প্রার্থীকে ‘আইএসআইয়ের এজেন্ট’ বলতেও ছাড়েননি। তাঁর কটাক্ষ, ‘‘জিন্নাকে বিদ্বান বলা ডামোরকে কি অমিত শাহ বিমানে করে পাকিস্তানে দিয়ে আসবেন?’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
সমালোচনার মুখে ডামোর বয়ান পাল্টে বলেন, ‘‘সর্দার পটেল যদি প্রধানমন্ত্রী হতেন, তা হলে পাকিস্তান তৈরি হত না, কাশ্মীর-সমস্যা থাকত না, থাকত না সন্ত্রাসবাদও।
প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালে পাকিস্তান সফরে গিয়ে মহম্মদ আলি জিন্নাকে ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ বলে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের রোষের মুখে পড়েছিলেন প্রবীণ বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণী। তার জেরে দলের সভাপতি পদও খোয়াতে হয়েছিল তাঁকে।