নোট বাতিলের বছরে কমে আয়কর রিটার্ন

ব্যবসা কমে যাওয়ায় মানুষের আয় কমেছিল। ফলে আয়কর রিটার্ন ফাইলের সংখ্যাও সে বছর কমেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০১৯ ০৪:৩৫
Share:

ছবি শাটারস্টক থেকে নেওয়া।

নোট বাতিলের সাফল্য হিসেবে মোদী সরকারের দাবি ছিল, এর ফলে আয়কর দাতার সংখ্যা বেড়েছে। কিন্তু এ বার আয়কর দফতরের তথ্যই জানাল, নোট বাতিলের বছরে ৮৮ লক্ষ করদাতা রিটার্ন ফাইলই করেননি। যা দেখে অর্থনীতিবিদদের বলছেন— নোট বাতিলের ফলে কাজ হারানো, ব্যবসা কমে যাওয়ায় মানুষের আয় কমেছিল। ফলে আয়কর রিটার্ন ফাইলের সংখ্যাও সে বছর কমেছে।

Advertisement

সংবাদমাধ্যমে এ খবর প্রকাশ হলেও বৃহস্পতিবার সারাদিন মোদী সরকারের কোনও কর্তা এ বিষয়ে মুখ খোলেননি। অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি নিজে বণিকসভা সিআইআই-এর সভায় অর্থনীতিতে মোদী জমানার সাফল্যের জয়গান গাইলেও এ নিয়ে একটি কথাও বলেননি।

আয়কর দফতররের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৫-১৬-য় পুরনো আয়কর দাতাদের মধ্যে ৮.৫৬ লক্ষ মানুষ রিটার্ন ফাইল করেননি। ২০১৬-১৭, অর্থাৎ নোট বাতিলের বছরেই তা এক লাফে ১০ গুণ বেড়ে ৮৮.০৪ লক্ষে পৌঁছয়। অথচ ২০১৮-র আর্থিক সমীক্ষায় কেন্দ্রীয় সরকারই দাবি করেছিল নোট বাতিলের পরে ১.০৬ কোটি নতুন আয়করদাতা যোগ হয়েছেন। মোদী সরকারের যুক্তি ছিল, নোটবন্দির পরে বাতিল নোট ব্যাঙ্কে জমা দিয়ে অনেকেই নিজের আসল আয় জানাতে বাধ্য হয়েছেন। তাই তাদের রিটার্ন ফাইল করতে হয়েছে। অর্থনীতিবিদদের

Advertisement

প্রশ্ন ছিল, রিটার্ন ফাইলের সংখ্যা বাড়লেই যে কর জমার পরিমাণ বাড়বে তা নয়। কারণ অনেকেরই হয়তো শেষে করের পরিমাণ শূন্য হচ্ছে।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

দু’মাস আগেও অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি দাবি করেন, আয়কর ও কর্পোরেট কর আদায় গত অক্টোবর পর্যন্ত ২০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। নোটবন্দির আগের দু’বছরে এই রাজস্ব আয়ে বৃদ্ধির হার ছিল মাত্র ৬.৬ শতাংশ ও ৯.৯ শতাংশ। নোট বাতিলের পরের দু’বছরে তা ১৪ থেকে ১৮ শতাংশ হারে বেড়েছে। ২০১৭-১৮-তে রিটার্ন ফাইলের সংখ্যা ২৫ শতাংশ বেড়ে ৬.৮৬ কোটি হয়েছিল বলেও দাবি করেছিলেন জেটলি। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, তার আগের বছরেই রিটার্ন ফাইলের সংখ্যা ৮৮ লক্ষ কমে গিয়েছিল।

আজ কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন, ‘‘বিজেপি নেতৃত্ব জবাব দিক, নোট বাতিলের সময় বিজেপি দফতর তৈরির জন্য কোথায়, কত টাকায়, কী পরিমাণ জমি কেনা হয়েছে। বিজেপি দফতর তৈরিতে কত টাকা খরচ হয়েছে আর সে টাকা আসছেই বা কোথা থেকে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন