প্রতীকী ছবি।
উনিশের লোকসভা ভোটে খরচ হতে চলেছে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা। যা বিশ্বের যে কোনও দেশের ভোটের খরচের থেকে অনেক বেশি।
নয়াদিল্লির সেন্টার ফর মিডিয়া স্টাডিজের (সিএমএস) দাবি, এ বারের ভোটে সোশ্যাল মিডিয়া ও বিজ্ঞাপনে বিরাট অঙ্কের টাকা খরচের সম্ভাবনা। তাদের রিপোর্ট বলছে, ভোটের বিজ্ঞাপনেই খরচ হতে চলেছে প্রায় ২৬০০ কোটি টাকা। ২০০৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্টের নির্বাচনে সাড়ে ছয় বিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছিল। কিন্তু ভারতের ভোটে এ বার খরচ হতে চলেছে প্রায় ৭ বিলিয়ন ডলার।
এপ্রিলের ১১ তারিখ থেকে শুরু হয়ে ভোট শেষ হবে ১৯ মে। এই দীর্ঘ সময়ে সাত দফা সব কেন্দ্রেই চলবে রাজনৈতিক দলগুলির নেতা-কর্মীদের জোরালো প্রচার। সিএমএসের মতে, ২০১৪-র ভোটের থেকে এ বার প্রায় ৪০ শতাংশ খরচ বেড়ে যেতে পারে। সোশ্যাল মিডিয়া, যাতায়াত, বিজ্ঞাপনেই খরচ বাড়বে বেশি। সংস্থাটির দাবি, ২০১৪-র ভোটে সোশ্যাল মিডিয়ায় খরচ হয়েছিল প্রায় ২৫০ কোটি টাকা। এ বার সেই খরচ পৌঁছতে পারে ৫ হাজার কোটি টাকায়। হেলিকপ্টার থেকে শুরু করে পরিবহণের অন্য খরচও বেড়ে গিয়েছে বিরাট ভাবে। উনিশের ভোটের খরচে তার প্রভাব পড়বে।
ভোট বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রার্থী সংখ্যা বেড়ে যাওয়াও খরচ বেশি হওয়ার একটি বড় কারণ। তাঁদের মতে, ভোটারদের খুশি করতে নানা ধরনের খরচ করে থাকে রাজনৈতিক দলগুলি। ভোট পাওয়ার আশায় প্রার্থীরা ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা করে। টাকা পয়সা, নেশার সামগ্রী যা আটকাতে সব সময়েই সতর্ক থাকতে হয় নির্বাচন কমিশনকে। গত বছরে কর্নাটকের বিধানসভা ভোটেই নির্বাচন কমিশন অর্থ, সোনা, মদ ছাড়াও প্রায় ১৩০ কোটি টাকা উদ্ধার করেছিল। এখানেই শেষ নয়, ভারতে ভোটে জেতার আশায় ছাগলের বাচ্চা উপহার দেওয়ার ঘটনাও ঘটে থাকে বলে দাবি ভোট বিশেষজ্ঞদের।
আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯