Lok Sabha Election 2019

আডবাণীজি নেই বলে গাঁধীনগরের কি মন খারাপ?

কিন্তু গাঁধীনগর মানেই তো গোটা দেশ জানে লালকৃষ্ণ আডবাণী। সেই আডবাণীকে সরিয়ে এ বার অমিত শাহ। কোথাও কোনও ক্ষোভ বা চর্চা?

Advertisement

উজ্জ্বল চক্রবর্তী

গাঁধীনগর শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০১৯ ১৬:৪১
Share:

গাঁধীনগর

সরখেজ-গাঁধীনগর রোডের উপর ঝাঁ-চকচকে শপিং সেন্টারের একটা বড় অংশ জুড়ে বিজেপির নির্বাচনী কার্যালয়। এটা শুধুমাত্র গাঁধীনগরের জন্যই। হাজার হাজার লোকের আনাগোনা দিনরাতভর। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সেই কার্যালয়ের একটা ঘরে হর্ষদভাই পটেলকে যুক্তিটা শোনানো গেল— জীবনে প্রথম বার লোকসভা নির্বাচনে লড়ছেন অমিত শাহ— হতে পারেন তিনি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি— কিন্তু, লোকসভার ময়দানে তো নতুন! জবাব এল, ‘‘সাধারণ কর্মী থেকে একটা মানুষ দলের সভাপতি হয়েছেন। এতগুলো নির্বাচন নিজের হাতে করেছেন। তাঁকে কোনও ভাবেই নতুন বলা যায় না।’’

Advertisement

কিন্তু গাঁধীনগর মানেই তো গোটা দেশ জানে লালকৃষ্ণ আডবাণী। সেই আডবাণীকে সরিয়ে এ বার অমিত শাহ। কোথাও কোনও ক্ষোভ বা চর্চা? হর্ষদভাইয়ের নরম জবাব, ‘‘আপনি গোটা গাঁধীনগর ঘুরে কোথাও এমনটা শুনলেন? শুনবেন না। মানুষের এটা নিয়ে কোনও উৎসাহ নেই। তাঁরা শুধু বিজেপিকেই চেনে। আর এ বারের নির্বাচনের প্রধান মুখই তো মোদীজি-অমিতভাই। তার থেকেও বড় কথা অমিতভাই আমাদের ঘরের ছেলে।’’

কিন্তু, আডবাণীজি নেই বলে গাঁধীনগরের কি মন খারাপ? বাবুভাই এমন ভাবে তাকালেন, যেন প্রশ্ন করতে চাইছেন, কে আডবাণী? নাহ্, কথা আর এগলো না।

Advertisement

গাঁধীনগরের আনাচ-কানাচ ঘুরে এই প্রশ্নের কোনও জবাব মেলেনি। শহরাঞ্চল তো বটেই— সানন্দ, কোবা, বাবলা, পেথাপুর, কলোলের মতো গ্রামাঞ্চলেও সকলে কেমন যেন নীরব।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন