—ফাইল চিত্র।
সিবিআই তদন্তে রাশ টানার ব্যবস্থা করাতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির সঙ্গে দেখা করেছিলেন আরজেডি সভাপতি লালুপ্রসাদ। ভোট প্রক্রিয়া চলাকালীন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদীর এই অভিযোগকে ঘিরে উত্তাল বিহার রাজনীতি। সুশীল মোদীর দাবি, সিবিআই সাহায্য করলে সে সময়ে নীতীশ কুমারের সরকার ফেলতে লালুপ্রসাদ সাহায্য করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু অরুণ জেটলি লালুপ্রসাদকে কোনও আশ্বাস দেননি। উল্টে জানিয়েছিলেন, সিবিআই স্বশাসিত সংস্থা। তার কাজে সরকার হস্তক্ষেপ করবে না। যদিও এ নিয়ে আরজেডির তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া আজ জানানো হয়নি।
সম্প্রতি লালুপ্রসাদের আত্মজীবনীতে নীতীশ কুমারের দূত হিসেবে লালুপ্রসাদের সঙ্গে প্রশান্ত কিশোরের দেখা করার ঘটনা বিবৃত করেছেন আরজেডি প্রধান। তা ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এমনকী আরজেডি এবং জেডিইউ মিলিয়ে দেওয়ার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছিল বলেও আরজেডি শিবির থেকে দাবি উঠেছে। তারই মধ্যে লালু-জেটলি বৈঠকের কথা বলে নতুন বিতর্ক তৈরি করলেন সুশীল মোদী। পশুখাদ্য মামলায় ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টের রায়ের বিপক্ষে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সিবিআই। তার প্রেক্ষিতেই প্রথমে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির সঙ্গে লালুপ্রসাদের দূত হিসেবে দেখা করেন আরজেডি কোষাধ্যক্ষ প্রেম গুপ্ত। এরপরে লালুও দেখা করেন জেটলির সঙ্গে। সেখানেই সিবিআইকে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া থেকে বিরত থাকার প্রস্তাব দেন তিনি। তবে জেটলি তা মানতে চাননি বলেই দাবি সুশীলের।
সুশীল মোদী লালুকে এ দিন কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন। নির্বাচনে জেতার জন্য লালু আরএসএস-বিজেপির সাহায্য নিয়েছেন বলেও দাবি তাঁর। রাজ্য বিজেপি দফতরে কৈলাশপতি মিশ্রের সঙ্গে দেখা করে চিঠি নিয়েছিলেন বলেও জানান তিনি। পাশপাশি, এ বার জেলে বসেই বিহার রাজনীতিতে লালু ঘুঁটি সাজাচ্ছেন বলেও অভিযোগ তাঁর।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
২০১৬ সালে রাজনৈতিক মহলে লালু-জেটলির বৈঠক নিয়ে অনেক জল্পনা থাকলেও কেউই স্পষ্ট করে কিছু বলেননি। নীতীশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু বলে পরিচিত অরুণ জেটলি। সেই বৈঠকের পরেই নীতীশের সঙ্গে লালুপ্রসাদের দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। জুলাই মাসে মহাজোট ভেঙে ফের এনডিএতে ফেরেন নীতীশ। তবে সে সময়ে তেজস্বীর বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগকে সামনে রেখেই সরব হয়েছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। এ দিন, সুশীল মোদীর বক্তব্যে নীতীশের মহাজোট ছাড়ার ঘটনা নয়া মোড় নিল।