গঙ্গা মাল। — নিজস্ব চিত্র।
এসআইআরের তথ্য নিয়ে আবারও বিতর্ক। অভিযোগ, জীবিত ব্যক্তি কমিশনের তালিকায় ‘মৃত’। এর আগে হুগলির ডানকুনির এক কাউন্সিলরের নাম মৃতের তালিকায় ওঠায় তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। এ বার সেই তালিকায় যোগ হল বীরভূমের সিউড়ি। রবিবার এই বিষয়ে সরব হয়েছেন বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী।
সিউড়ির বিধায়কের অভিযোগ, সিউড়ি পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা গঙ্গা মাল জীবিত থাকা সত্ত্বেও খসড়া ভোটার তালিকায় তাঁকে ‘মৃত’ বলে দেখানো হয়েছে। বিধায়কের দাবি, এটি কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। তাঁর আরও অভিযোগ, এসআইআর প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিকল্পিত ভাবে সাধারণ মানুষকে নাজেহাল করা হচ্ছে। অনেক বৈধ ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ পড়ার আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে।
যে মহিলার নাম ‘মৃতের তালিকা’য় ওঠা নিয়ে বিতর্ক তাঁর মেয়ে দেবী মণ্ডল জানান, তাঁদের বুথের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিএলও একবারও বাড়িতে আসেননি। তাঁর আরও অভিযোগ, পাড়ার একটি নির্দিষ্ট জায়গা থেকে গণনাপত্র সংগ্রহ করা হয় এবং স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের সহযোগিতায় সেই ফর্ম পূরণ করে পরে বিএলওর বাড়িতে জমা দেওয়া হয়।
দেবী জানান, তাঁর ৭০ বছর বয়সি মা শারীরিক ভাবে অসুস্থ ও হাঁটাচলা করতে অক্ষম। সেই কারণে তিনি নিজে গিয়ে ফর্ম জমা দিতে পারেননি। যদিও গণনাপত্রে মায়ের আঙুলের ছাপ ছিল এবং সেই ফর্ম মেয়ে নিজেই জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পরে সেখানে মায়ের নাম না থাকায় বিএলওর সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কোনও সদুত্তর মেলেনি।
দেবীর আশঙ্কা, ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ গেলে তাঁর মা বার্ধক্য ভাতা, রেশন-সহ বিভিন্ন সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হবেন।
গঙ্গা মাল। — নিজস্ব চিত্র।
বিকাশ বলেন, ‘‘আমরা ওই পরিবারের পাশে আছি। শুধু এই ঘটনা নয়, তিলপাড়া পঞ্চায়েত এলাকাতেও এক স্থায়ী বাসিন্দাকে খসড়া তালিকায় স্থানান্তরিত হিসাবে দেখানো হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। প্রত্যেক বৈধ ভোটারের নাম যাতে ভোটার তালিকায় থাকে তা নিশ্চিত করতে তৃণমূল কংগ্রেস প্রয়োজনীয় সমস্ত পদক্ষেপ করবে।’’
উল্লেখ্য, পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের বারাবনি বিধানসভাতে দুই বৃদ্ধ-বৃদ্ধা জীবিত থাকলেও কমিশনের তালিকায় এক জন ‘মৃত’, অপর জন ‘নিখোঁজ’ বলে চিহ্নিত হয়েছিলেন। একই অভিযোগ ফের উঠে এল বীরভূম থেকে।