অসমের উপমুখ্যমন্ত্রী, বিজেপি নেতা হিমন্ত বিশ্বশর্মা। —ফাইল চিত্র।
সারদা কেলেঙ্কারিকে হাতিয়ার করেই এ বার বিজেপিকে বিঁধলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুক্রবার অসমের ধুবুরি জেলার ঝগড়ার পাড় স্টেডিয়ামের মাঠে সভা করেন তৃণমূলনেত্রী। সেখানে তিনি অসমের উপমুখ্যমন্ত্রী, বিজেপি নেতা হিমন্ত বিশ্বশর্মার বিরুদ্ধে সারদার মালিকের কাছে তিন কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ করেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে উদ্দেশ করে তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেন ওই বিষয়ে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ওই বিষয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও তিনি ধুবুরির তৃণমূল প্রার্থী পেশায় আইনজীবী নুর ইসলাম চৌধুরীর হাতে তুলে দেন।
এ দিন মমতা বলেন, “বাংলায় গিয়ে বলে চিটিং ফান্ড। আমাদের আমলে একটাও হয়নি। আমরা গ্রেফতার করেছি, ব্যবস্থা নিয়েছি। আপনারা সারদা, নারদা করেন। আমার কাছে ডকুমেন্ট আছে। সারদার মালিক কী বলেছেন? এখানে আপনাদের হিমন্তবাবু আছেন। কে তিনি? আপনাদের এখানকার মন্ত্রী। চিটফান্ডের মালিক বলেছেন, আমি তাঁকে নগদে তিন কোটি টাকা দিয়েছি। মোদীবাবু আপনি তাঁকে গ্রেফতার করেছেন? করেননি। কোনও ব্যবস্থা নিয়েছেন? নেননি। এই প্রমাণ আমার প্রার্থীকে দিলাম। ক্ষমতা থাকলে চ্যালেঞ্জ করুন।” বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা অরবিন্দ মেনন ওই অভিযোগের গুরুত্ব দিতে চাননি। তিনি বলেন, “তৃণমূল কী করেছে তা সবাই জানে। এ সব কথার কোনও অর্থ নেই। মাথা খারাপ হয়ে গেলে যা হয় সেটাই হয়েছে তৃণমূল নেত্রীর।”
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
গত কয়েক বছর ধরে সারদা-নারদা কেলেঙ্কারি নিয়ে বিরোধীরা একের পর এক অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তাপস পালের মতো তৃণমূল নেতারা গ্রেফতার হয়েছেন। বারে বারে বাংলায় এসেছে সিবিআই। তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও বিজেপির প্রচারে এসে বারে বারে আক্রমণ করেছেন তৃণমূল সরকারকে। এ দিন মুখ্যমন্ত্রী পাল্টা অভিযোগ তোলেন, পরিকল্পনা করে তৃণমূলকে হেনস্থা করতেই বারে বারে সিবিআই টেনে আনা হয়। ভুয়ো লগ্নি সংস্থার দুর্নীতির কথা বলা হয়।
মমতা অভিযোগ করেন, বিজেপি কোনও উন্নয়ন করেনি। অসমের মানুষ ২ টাকা কেজি চাল, বিনে পয়সায় চিকিৎসা কিছুই পায় না। ধুবুরির মাঠে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, “এখানকার মানুষ চিকিৎসার জন্য কোচবিহারে যায়। তাঁদের মুখে বড় বড় কথা।” বিজেপির সরকার দিল্লি থেকে উৎখাতের ডাক দিয়ে মমতা বলেন, “এ বার চা-ওয়ালা নেই। চা বানানো ভুলে গিয়েছেন। এখন হয়েছেন চৌকিদার। রোজ মিথ্যে কথা বলছেন। বোল্ডলি মিথ্যে কথা বলছেন। তাঁকে বোল্ড আউট করা উচিত কি উচিত নয়?”