Ramesh Katara

সর্বত্র ক্যামেরা বসিয়েছেন মোদী, কংগ্রেসকে ভোট দিলেই জেনে যাবেন: বিজেপি বিধায়ক

৪৮ ঘণ্টার জন্য কোনও ধরনের নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে পারবেন না তিনি, এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল নির্বাচন কমিশন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০১৯ ১৮:২০
Share:

বক্তৃতা দেওয়ার সময়। ছবি: সংগৃহীত।

ভুয়ো হুমকি দিয়ে ভোটারদের বিভ্রান্ত করার তালিকাটা আরও একটু লম্বা হল। এবার অভিযুক্ত গুজরাতের বিজেপি বিধায়ক রমেশ কাটারা। নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে জনতার উদ্দেশে গুজরাতের এই বিজেপি নেতার হুঁশিয়ারি, ‘‘মোদী সব জায়গায় ক্যামেরা বসিয়ে রেখেছেন, বিজেপিকে ভোট না দিয়ে কংগ্রেসকে ভোট দিলেই আমরা জানতে পারব।’’ মঙ্গলবারই তাঁকে ক্যামেরার সামনে এই মন্তব্য করতে দেখা যায়। ঘটনা সামনে আসার পরই প্রতিবাদে সরব হয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। অভিযোগ জানানো হয়েছে নির্বাচন কমিশনেও

Advertisement

মঙ্গলবার গুজরাতের দাহোদ লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচনী প্রচার চলাকালীন এই বেফাঁস মন্তব্য করেন ফতেপুরার বিজেপি বিধায়ক রমেশ কাটারা। সংবাদ সংস্থার ক্যামেরার সামনেই উপস্থিত জনতার উদ্দেশে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ঢোকার পর ইভিএমে যশবন্ত সিংহ ভাভোরের ছবি এবং পদ্মফুল প্রতীক দেখতে পাবেন। ওখানেই বোতাম টিপে ভোট দেবেন। কোনও ভুল যেন না হয়। কারণ এ বার মোদী স্যর সর্বত্র ক্যামেরা বসিয়ে রেখেছেন। ’’

এখানেই থেমে থাকেননি রমেশ। কারও যাতে বুঝতে অসুবিধে না হয়, সেই জন্য তিনি ফের বলেন, ‘‘কে বিজেপিকে ভোট দিচ্ছে, আর কে কংগ্রেসকে, সব দেখতে পাবো আমরা। আধার কার্ড সহ সব কিছুতেই আপনাদের ছবি আছে। কোনও বুথ থেকে কম ভোট এলেই মোদী স্যর জানতে পারবেন, কারা তাঁকে ভোট দেননি। তা হলে আর সে কোনও কাজ বা চাকরি পাবে না।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: টাকা দিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা! ভেলোরে নির্বাচন বাতিলের সুপারিশ কমিশনের

এই মুহূর্তে দাহোদ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ যশবন্ত সিংহ ভাভোর। তাঁর সমর্থনে খোদ বিজেপি বিধায়কের এই খোলা এবং ভুয়ো হুঁশিয়ারিতে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। রাষ্ট্রীয় জনতা দলের তরফে লালুপ্রসাদ টুইট করেছেন, ‘‘অসহায় ভোটারদের ভয় দেখিয়ে বিজেপিতে ভোট দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। ভোটে এই ধরনের হুমকির প্রভাব পড়বে।’’

অবশ্য এই প্রথম নয়, এর আগেও ভোটারদের ভয় দেখিয়ে প্রভাবিত করার ঘটনা ঘটেছে। উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুরে বিজেপি নেতা ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হুমকি দিয়েছিলেন মুসলিম ভোটারদের। নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, মুসলিমদের সমর্থন ছাড়াই তিনি ভোটে জিতবেন। যে মুসলিমরা তাঁকে ভোট দেবেন না, তাঁরা কোনও সুবিধা পাবেন না বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি।

অন্য আরেকটি ঘটনায় উত্তরপ্রদেশেরই পিলিভিটে বেফাঁস মন্তব্য করেছিলেন মানেকা। নিজের ছেলে বরুণ গাঁধীর নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে তাঁর মন্তব্য ছিল, ‘‘যে গ্রাম থেকে ৮০ শতাংশ ভোট পাবো, তা গ্রেড এ পর্যায়ে ফেলা হবে। ৬০ শতাংশ পেলে গ্রেড বি, ৫০ শতাংশ পেলে গ্রেড সি আর তার কম হলে সেই গ্রামকে ফেলা হবে গ্রেড ডি পর্যায়ে।’’ যে গ্রাম থেকে যে রকম ভোট আসবে, তার ভিত্তিতেই উন্নয়নের কাজ করা হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।

আরও পড়ুন: কংগ্রেসের প্রচার মধ্যগগনে, মোদির জন্যে কি ঝুলে রয়েছে ইনদওর, বিদিশা, ভোপাল?

মানেকা গাঁধীর ক্ষেত্রেও প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা। তার ভিত্তিতে ব্যবস্থাও নেয় নির্বাচন কমিশন। ৪৮ ঘণ্টার জন্য কোনও ধরনের নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে পারবেন না তিনি, এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল নির্বাচন কমিশন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন