ভোপালে সাধ্বীকে হারাতে মহাযজ্ঞে সাধুরা

ভোপালে লোকসভা ভোটের মুখে এমন যজ্ঞের আয়োজনের মধ্যে বিজেপি প্রার্থী সাধ্বী প্রজ্ঞাকে খুঁজে বেরনোটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এ যে একেবারে উল্টো ঘটনা। এখানে চলছে সাধ্বীকেই হারানোর আয়োজন!

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ভোপাল শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০১৯ ০২:৩৯
Share:

সাধ্বী প্রজ্ঞাকে হারাতে কম্পিউটার বাবার যজ্ঞে শামিল কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংহ। মঙ্গলবার। ছবি: পিটিআই

হলুদ রঙের কাপড়ে মোড়া বিরাট মণ্ডপ। ভিতরে চলছে মহাযজ্ঞ। আগুনের পাশে হাজির কয়েক হাজার সাধুসন্তও।

Advertisement

ভোপালে লোকসভা ভোটের মুখে এমন যজ্ঞের আয়োজনের মধ্যে বিজেপি প্রার্থী সাধ্বী প্রজ্ঞাকে খুঁজে বেরনোটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এ যে একেবারে উল্টো ঘটনা। এখানে চলছে সাধ্বীকেই হারানোর আয়োজন! সৌজন্যে কম্পিউটার বাবা। শিবরাজ সিংহ চৌহানের এক সময়ের মন্ত্রী নামদাস ত্যাগী ওরফে কম্পিউটার বাবা শিবির বদলে ফেলেছেন। কংগ্রেস প্রার্থী, রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিংহকে জেতাতে এ বার সাধুসন্তদের নিয়ে মাঠে নেমে পড়েছেন তিনি। মঙ্গলবার তাঁরই উদ্যোগে এই মহাযজ্ঞের আয়োজন। সেখানে জোড়হাত করে বসে কংগ্রেস প্রার্থী স্বয়ং।

ভোপালে বিজেপি প্রার্থী করেছে মালেগাঁও বিস্ফোরণে অভিযুক্ত প্রজ্ঞা ঠাকুরকে। ভোটবাজারে যেখানে যতটা পারেন, হিন্দুত্বের
অ্যাজেন্ডাকে সামনে নিয়ে আসছেন প্রজ্ঞা। তবে সাধ্বীকে হারাতে সাধুদের নিয়ে আদাজল খেয়ে নেমেছেন কম্পিউটার বাবা। মহাযজ্ঞের মণ্ডপে বসে আজ যজ্ঞের আগুনে ঘি ঢেল‌েছেন তাঁরা। আর কম্পিউটার বাবা বলছেন, ‘‘এই সাধুরা কেউই কংগ্রেসের নন। তবে এঁরা বিজেপি বিরোধী। কারণ বিজেপি শুধু দেশের আমজনতাকেই ধোঁকা দেয়নি, সাধুদেরও ঠকিয়েছে।’’ তাঁর দাবি, ভোপালে দিগ্বিজয়ের বিরুদ্ধে বিজেপির কেউ লড়তে চাননি। সে জন্যই শেষ পর্যন্ত প্রজ্ঞাকে ‘বলির পাঠা’ করা হয়েছে।

Advertisement

সাধুদের যজ্ঞে মোদীকে সরানোর স্লোগানও উঠেছে, ‘‘রাম নাম অব কি বার, বদলকে রাখ দো চৌকিদার।’’ এরই মধ্যে কম্পিউটার বাবার দাবি, তাঁর সঙ্গে থাকা সাধুরা এখন বলছেন, রাম মন্দির হয়নি। মোদী সরকারকে আর চাই না। তাই তাঁরা দিগ্বিজয়ের জয়ের জন্যই যজ্ঞ করছেন।
সাদা কুর্তা পাজামা পরে সেই পুজোয় হাজির দিগ্বিজয়ও। তিনি মাটিতে বসে, তাঁকে ঘিরে সাধুরা। তবে যজ্ঞ করতে বসা সাধুদের অনেকেই কিন্তু জানেন না, ঠিক কী কারণে তাঁরা এখানে এসেছেন। তাঁদের এক জন বলেন, ‘‘কম্পিউটার বাবা ডেকেছেন বলেই এসেছি। রাজনীতির সঙ্গে আমাদের কোনও যোগ নেই।’’

এ মাসের ১২ তারিখে ভোপালের ভোট। ২৩ তারিখেই বোঝা যাবে, সাধ্বীকে হারাতে সাধুদের যজ্ঞ আদৌ কোনও কাজে এল কি না!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন