—ফাইল চিত্র।
স্যাম পিত্রোদা নিজে ক্ষমা চেয়েছেন। ১৯৮৪ সালের শিখ দাঙ্গা নিয়ে তাঁর ‘হুয়া তো হুয়া’ মন্তব্যের জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাহুল গাঁধী। তা সত্ত্বেও ১৯ মে পঞ্জাবের ভোটগ্রহণ পর্যন্ত বিজেপি যে এ নিয়ে রাজনীতিই করতে চায়, তা আজ ফের স্পষ্ট করে দিলেন নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ। আজ প্রধানমন্ত্রী এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘পিত্রোদার মন্তব্যকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে দেখা উচিত নয়। রাজীব গাঁধী প্রধানমন্ত্রী হয়ে (ইন্দিরা হত্যা ও শিখ দাঙ্গা প্রসঙ্গে) প্রথমেই বলেছিলেন, ‘যখন বড় গাছ পড়ে, তখন ভূকম্পন হয়।’ তার পরে যত ঘটনা ঘটেছে, সব তারই পথ ধরে হয়েছে।’’ অমিত শাহের মতে, পিত্রোদার মন্তব্য আসলে কংগ্রেসের মানসিকতারই প্রকাশ। মোদীর প্রশ্ন, ‘‘১৯৮৪ সালে এত দাঙ্গা হয়েছে, এত লোক মারা গিয়েছেন— দিল্লিতে কার্ফুও জারি করা হয়নি। একটা গুলিও চলেনি পুলিশের দিক থেকে।’’
মোদী শিখ দাঙ্গা নিয়ে আক্রমণ চালিয়ে যাওয়ায় কংগ্রেসকেও পাল্টা রণনীতির কথা ভাবতে হচ্ছে। দলের নেতারা বলছেন, ২০০২ সালে গুজরাতের দাঙ্গার সময়ে আক্রান্তদের আর্তি সত্ত্বেও তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পুলিশ হাত গুটিয়ে বসে ছিল। মোদী কি তার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন? পঞ্জাবের কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিংহ প্রশ্ন বলেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীকে গুজরাত দাঙ্গার সঙ্গে জুড়ে দিলে কেমন হবে?’’ এমআইএম প্রধান আসাউদ্দিন ওয়েইসিও একই প্রশ্ন তুলেছেন। পিত্রোদার মন্তব্যের পরে শিখদের ক্ষোভ নিরসনে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকে পঞ্জাবে কাজে লাগানোর কথা ভাবছে কংগ্রেস। মনমোহন নিজে শিখ। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি চুরাশির ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছিলেন।
বিজেপি অবশ্য পুরনো ক্ষত খুঁচিয়ে দেওয়ার চেষ্টাই জারি রেখেছে। মোদী আজ মনে করিয়েছেন, চুরাশির দাঙ্গায় কমল নাথের ভূমিকা নিয়ে অভিযোগ ছিল। তা সত্ত্বেও কংগ্রেস তাঁকে পঞ্জাবের দায়িত্ব দিয়েছিল। সেই কমল এখন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। মোদীর কথায়, ‘‘এক ভদ্রলোককে পঞ্জাবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তাতে ঝড় ওঠায় তাঁকে সরাতে হয়। এখন তাঁকেই মুখ্যমন্ত্রী করে দেওয়া হয়েছে।’’