মোদী এবং রাহুল দু’জনেই শিবভক্ত। তা নিয়ে দুই নেতার মধ্যে প্রচ্ছন্ন প্রতিদ্বন্দ্বিতাও রয়েছে। —ফাইল চিত্র।
শিবরাত্রি উপলক্ষে নীরবে প্রচার সেরে ফেললেন রাহুল গাঁধী এবং নরেন্দ্র মোদী।
ইংরেজি এবং হিন্দিতে প্রধানমন্ত্রী মোদীর টুইট, ‘‘মহাশিবরাত্রি উপলক্ষে প্রত্যেক দেশবাসীকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা।’’ টুইট করেছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুলও। হিন্দিতে লিখেছেন, ‘‘মহাশিবরাত্রি উপলক্ষে আপনাদের সকলকে শুভেচ্ছা জানাই।’’ ওই টুইটের সঙ্গে তুষারাবৃত কৈলাস পর্বতের ছবিও দিয়েছেন রাহুল। কংগ্রেস নেতাদের একাংশের দাবি, শিবরাত্রিতে টুইট-যুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ে একটু এগিয়েই রইলেন তাঁদের সভাপতি। কংগ্রেসের টুইটার হ্যান্ডলে, রাহুলের টুইটটি শেয়ার করা হয়েছে।
মোদী এবং রাহুল দু’জনেই শিবভক্ত। তা নিয়ে দুই নেতার মধ্যে প্রচ্ছন্ন প্রতিদ্বন্দ্বিতাও রয়েছে। শিবভক্তি প্রমাণে মোদী কেদারনাথের কপাট খুললে প্রথম দর্শনার্থী হতে চান, নেপালে পশুপতিনাথ মন্দিরে গিয়ে মঞ্জিরা বাজান। রাহুল আবার কৈলাসে মানসসরোবরে যাওয়ার আগে টুইট করেন, ‘‘শিবই বিশ্ব।’’
কংগ্রেসের মতে, রাহুলের টুইটে কৈলাসের ছবি আসলে মোদীকে উদ্দেশ করেই। সম্ভবত মোদীকে মনে করিয়ে দিতে চেয়েছেন, হিন্দুত্বের কথা বললেও তিনি এখনও মানসসরোবরে যেতে পারেননি। গুজরাত ভোটের সময় থেকেই মন্দির-যাত্রা শুরু করেছিলেন রাহুল। সে বার মোদীকে প্রায় কুপোকাত করে ফেলেছিলেন তিনি। মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়ের নির্বাচনী প্রচারেও কংগ্রেস সভাপতি মন্দির-যাত্রা বাদ দেননি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন, রাহুল বিজেপির হিন্দুত্বের মোকাবিলায় করছেন হিন্দুত্ব দিয়েই।