নরেন্দ্র মোদী। ফাইল চিত্র।
নিজের ব্লগে আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু হিসেবে কংগ্রেস এবং গাঁধী পরিবারকেই বেছে নিলেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি লিখেছেন, পরিবারতন্ত্রে অভ্যস্ত কংগ্রেস গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। সেই কারণেই ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে পরিবারতন্ত্রকে হঠানোর পক্ষে রায় দিয়েছিলেন দেশের সাধারণ মানুষ। পাশাপাশি, নিজের ব্লগে দুর্নীতি নিয়েও কংগ্রেসকে এক হাত নিয়েছেন তিনি। ২০১৪ সালের মানুষের এই সিদ্ধান্তকে মোদী নিজের ব্লগে লিখেছেন, ‘অনেস্টি ওভার ডায়নেস্টি’।
পরিবারতন্ত্রের পাশাপাশি মোদী তোপ দেখেছেন কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকাকালীন বিভিন্ন প্রতিরক্ষা দুর্নীতি নিয়েও। তাঁর কথায়, ‘প্রতিরক্ষা মন্ত্রককে কংগ্রেস চিরকালই আয়ের উৎস হিসেবে দেখে এসেছে। সেই কারণেই দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে কখনও সম্মান দেয় না কংগ্রেস। ১৯৪৭ সাল থেকে দেশের প্রতিটি ক্ষমতাসীন কংগ্রেস সরকার একাধিক প্রতিরক্ষা দুর্নীতি করেছে। জিপ থেকে শুরু করে সেই দুর্নীতি বন্দুক, সাবমেরিন এবং হেলিকপ্টারেও।’ একই সঙ্গে গাঁধী পরিবারের নাম না করে তাঁর কটাক্ষ, ‘প্রতিটি দুর্নীতির ক্ষেত্রেই মিডলম্যান বা দালালেরা একটি বিশেষ পরিবারের সঙ্গে যুক্ত দেখা গিয়েছে।’
গত বছরই ৩৬০০ কোটি টাকার ভিভিআইপি চপার কেলেঙ্কারিতেএনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট আদালতকে জানিয়েছিল— এই কেলেঙ্কারির মূল অভিযুক্ত মিডলম্যান ক্রিশ্চিয়ান মিশেল মিসেস গাঁধী এবং এক ইতালীয় মহিলার ছেলের কথা জেরার সময় জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: টিকিট না মেলায় বিদ্রোহ বিজেপিতে, উত্তর-পূর্বে দলত্যাগ ২৫ নেতা-মন্ত্রীর
দুর্নীতির পাশাপাশি নিজের ব্লগে কংগ্রেসের পরিবারতন্ত্রকেও এক হাত নিয়েছেন মোদী। তাঁর কথায়, ‘দুঃখজনক ভাবে কংগ্রেস গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। কোনও নেতা বা নেত্রী দলকে নেতৃত্ব দেবার জায়গায় পৌঁছলেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়।’ রাহুল এবং সনিয়ার পাশাপাশি ইন্দিরাকেও ছেড়ে কথা বলেননি মোদী। তাঁর কথায়, ‘ইন্দিরা গাঁধী বিচারব্যবস্থাকেও ছেড়ে কথা বলেননি। সংবিধান নয়, পারিবারিক আনুগত্যই ছিল তাঁর বেশি পছন্দ।’
আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর দেশের প্রতিষ্ঠানগুলিকে ধ্বংস করা হচ্ছে, এই অভিযোগের জবাবে মোদীর বক্তব্য, ‘কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকার সময় সনিয়ার নেতৃত্বে জাতীয় উপদেষ্টা পরিষদ তৈরি করা হয়েছিল, যা প্রধানমন্ত্রীর দফতরের সমক্ষমতা সম্পন্ন ছিল। আর এখন সেই কংগ্রেস প্রতিষ্ঠানের কথা বলছে?’