—ফাইল চিত্র।
নীতি-আদর্শ নয়, জয়ের নিশ্চয়তাই লোকসভা ভোটে বিজেপির প্রার্থী হওয়ার একমাত্র শর্ত। সোমবার দিল্লিতে রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে দলীয় বৈঠকে এই বার্তাই স্পষ্ট করে দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। মঙ্গলবার কলকাতায় ফিরে দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘অমিত শাহ বলেছেন, যে জিতবে, সে-ই প্রার্থী হবে। কেন্দ্রে সরকার গড়তেই হবে। এটাই এখন একমাত্র নীতি।’’
দলীয় সূত্রের খবর, সোমবারের বৈঠকে রাজ্যের এক বর্ষীয়ান নেতা বলেন, যাঁরা বহু বছর ধরে দল করছেন, লোকসভার প্রার্থী বাছাইয়ে তাঁদের গুরুত্ব দেওয়া হোক। শুধুই যেন অন্য দল থেকে আসা বা ‘চমকপ্রদ’ ব্যক্তিদের প্রার্থী করা না হয়। তারই উত্তরে শাহ বলেন, ২০১৬ সালে নীতির কথা বলে যাঁদের প্রার্থী করা হয়েছিল, নির্বাচনে তাঁরা বিশেষ কিছুই করে উঠতে পারেননি। এ বার আর সে ঝুঁকি নেওয়া সম্ভব নয়।
তৃণমূল এবং কংগ্রেস থেকে বেশ কয়েক জন ‘নামী’ নেতা-নেত্রী বিজেপিতে যোগ দিয়ে প্রার্থী হবেন বলে গত কয়েক দিন ধরে গুঞ্জন চলছে রাজ্য দলের সদর দফতরে। বিজেপির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয় সোমবার জানিয়েছিলেন, পরের দিন তৃণমূলের এক তারকা যোগ দেবেন বিজেপিতে। কিন্তু এ দিন দেখা যায় সেই ব্যক্তি তৃণমূল থেকে বিতাড়িত অনুপম হাজরা। অন্য দু’জন বাগদার কংগ্রেস বিধায়ক দুলাল বর এবং হবিবপুরের সিপিএম বিধায়ক খগেন মুর্মু। যোগদানের পরে অনুপম বলেন, ‘‘অনুব্রত মণ্ডলের কারণেই বিজেপিতে যোগ দিলাম। কারণ একজন সাংসদ হিসাবে আমাকে কোনও কাজ করতে দেওয়া হয়নি। টিকিট পেলে বোলপুর থেকে আমি জিতব।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
বাকি যাঁদের নাম রাজনৈতিক মহলে ঘুরছে, এখনও পর্যন্ত তাঁদের কেউই বিজেপিতে যোগ দেননি। যা নিয়ে দলের ভিতর আলোচনা-সমালোচনাও চলছে। এ বিষয়ে দিলীপবাবুর প্রতিক্রিয়া, ‘‘আজ যাঁরা যোগ দিলেন, তাঁদের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত ভাবে কথা হয়েছিল। আমি জানতাম, তাঁরা আসবেন। কিন্তু আর যাঁদের নাম নিয়ে জল্পনা চলছে, তাঁদের সঙ্গে আমার কথা হয়নি। সকলের মতো আমিও জল্পনাই শুনছি।’’
তৃণমূল থেকে যাঁরা বিজেপিতে আসবেন বলে জল্পনা চলছে, তাঁদের কারও বিরুদ্ধে নারদ কেলেঙ্কারির অভিযোগ রয়েছে। কেউ আবার অন্যান্য ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত। তাঁদের দলে নিতে কি নেতৃত্বের আপত্তি হবে না? দিলীপবাবুর জবাব, ‘‘হৃদয় এবং দলের দরজা আমরা আগেই বড় করেছি। ভোটে জিততে হলে নিতে হবে সকলকেই। কিন্তু অভিযুক্ত ব্যক্তি দলের মুখ হবেন না।’’