নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
চাপের মুখে পড়ে অবশেষে নরেন্দ্র মোদীর ছবি-সহ বোর্ডিং পাস প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিল এয়ার ইন্ডিয়া। সংস্থার বোর্ডিং পাসে ‘ভাইব্র্যান্ট গুজরাতে’র বিজ্ঞাপনে মোদীর ছবি থাকায় তা নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের সামিল বলে সমালোচনা শুরু হয়েছিল।
সোমবার সংস্থার মুখপাত্র ধনঞ্জয় কুমার বলেন, “ প্রধানমন্ত্রী ও গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ছবি দেওয়া ‘ভাইব্র্যান্ট গুজরাতে’র বিজ্ঞাপন-সহ বোর্ডিং পাসগুলি প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া।”
শুধুমাত্র এয়ার ইন্ডিয়াই নয়, এর আগে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছিল ভারতীয় রেলের বিরুদ্ধেও। সে বিতর্কের মধ্যেই ফের মোদীর ছবি ঘিরে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ ওঠে। এ বার কাঠগড়ায় এয়ার ইন্ডিয়া।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
আরও পড়ুন: প্রচারে নেমেই ‘মা’ মমতাকে ‘কৈকেয়ী’ বলে কটাক্ষ ভারতীর
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মোদীকে চাই বলে বিতর্কে রাজস্থানের রাজ্যপাল
এ দিন এয়ার ইন্ডিয়া বিমানের বোর্ডিং পাসের ছবি টুইট করেন পঞ্জাবের প্রাক্তন ডিজিপি শশী কান্ত। নয়াদিল্লি বিমানবন্দরের ওই বোর্ডিং পাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানির ছবি দেখিয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন, নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর কী ভাবে এই ছবি থাকতে পারে? তাঁর টুইট, ‘২০১৯ সালের ২৫ মার্চ নয়াদিল্লি বিমানবন্দরের বোর্ডিং পাসে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে নরেন্দ্র মোদী, ভাইব্রান্ট গুজরাত এবং বিজয় রুপানিকে। বোর্ডিং পাসের ছবিটা নীচে দেওয়া। অবাক হচ্ছি এটা ভেবে যে কেন আমরা এমন একটা নির্বাচন কমিশনের জন্য জনগণের টাকা নষ্ট করছি, যে দেখতে, শুনতে অথবা বলতে পারে না...।’
এয়ার ইন্ডিয়াও টুইটের জবাব দিয়েছে। ওই বিমান সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বোর্ডিং পাসে এই ছবি আসলে থার্ড পার্টি বিজ্ঞাপন। এই বিজ্ঞাপন নির্বাচনীবিধি ভঙ্গ করে থাকলে তা সরিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বিমান সংস্থা। শেষমেশ চাপের মুখে পড়ে তারা পিছু হঠতে বাধ্য হল।
এর আগে দূরপাল্লার ট্রেনের টিকিটে মোদী এবং তাঁর গ্রামোন্নয়ণ মন্ত্রকের গ্রামীণ আবাস যোজনার বিজ্ঞাপন ঘিরে নির্বাচনবিধি ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছিল। নির্বাচন কমিশনে তৃণমূল অভিযোগ জানায়। চলতি মাসের ২০ তারিখে রেলওয়ে টিকিট থেকে মোদীর ছবি সরিয়ে দেয়।
(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরাবাংলা খবরপেতে পড়ুন আমাদেরদেশবিভাগ।)