ভোট দিতে যাব না আর, অনড় নির্ভয়ার বাবা-মা

২০১২ সালের ডিসেম্বর। রাতের দিল্লিতে গণধর্ষণ করা হয়েছিল মেডিক্যাল ছাত্রী নির্ভয়াকে। এগারো দিনের লড়াই শেষে নিথর হয়ে গিয়েছিল ছিন্নভিন্ন শরীরটা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০১৯ ০২:০৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

প্রতিবারই ভোট আসে, ভোট যায়। দরজায় নেতামন্ত্রীদের সহমর্মিতা আর প্রতিশ্রুতির রাশি এসে দাঁড়ায়। তবে সে সব কিছুই আর টলাতে পারছে না সন্তানহারা এই দম্পতিকে।

Advertisement

২০১২ সালের ডিসেম্বর। রাতের দিল্লিতে গণধর্ষণ করা হয়েছিল মেডিক্যাল ছাত্রী নির্ভয়াকে। এগারো দিনের লড়াই শেষে নিথর হয়ে গিয়েছিল ছিন্নভিন্ন শরীরটা। তার পরে সাত বছর কেটেছে। ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে নির্ভয়া ধর্ষণ-খুনে অপরাধী ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনিয়েছিল আদালত। তবে দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশে আপাতত স্থগিত সেই সিদ্ধান্ত।

তাই এ বারের ভোটে আর অংশ নিচ্ছেন না তাঁরা, স্পষ্ট জানালেন দম্পতি। তাঁদের অভিযোগ, এখনও শহরের বহু রাস্তাতেই আলো নেই। রাতের রাস্তা সুরক্ষিত নয় শিশু ও মহিলাদের জন্য। নারী-শিশুদের প্রতি ‘নারকীয় অত্যাচার’ রুখতে তেমন কোনও উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপও করেনি সরকার। নির্ভয়ার মা বলেন, ‘‘সমস্ত সরকারই নিরাশ করেছে। কোনও দলকেই সমর্থন করতে ইচ্ছা করে না। ভোট দেওয়ারও ইচ্ছা নেই।’’

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

একই হতাশার স্বর নির্ভয়ার বাবার গলাতেও। বললেন, ‘‘কিচ্ছু বদলায়নি। ভোট দিতে ইচ্ছা করছে না। রাজনৈতিক দলগুলি নারীর সম্মানের কথা বলে যায়। কিন্তু কেউ প্রতিশ্রুতি রাখেনা। দিনের শেষে আমাদের যন্ত্রণা, অসহয়তাটুকুই সার।’’

নির্ভয়ার বাবা মনে করেন, ভোট আসলে নেতামন্ত্রীদের ফাঁকা প্রতিশ্রুতি দেওয়ার সুযোগ ছাড়া আর কিছুই নয়। নিজেদের প্রয়োজনে মানুষকে ভুল পথে পরিচালনা করাই তাদের লক্ষ্য। ২০১৮ সালের বাজেটে ‘নির্ভয়া ফান্ড’ নামে একটি তহবিল ঘোষণা করেছিল সরকার, সেটি ঠিক কাজে লাগানো পর্যন্ত হয়নি বলেও অভিযোগ করেছেন মেয়ে-হারা বাবা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement