আশীর্বাদ: বৃহস্পতিবার রায়বরেলীতে প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। ছবি: পিটিআই।
সনিয়ার গাঁধীর নাম ইতিমধ্যেই রায়বরেলী থেকে ঘোষণা করেছে কংগ্রেস। তবু আজ মায়ের কেন্দ্রে মেয়ে প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরাকে সামনে পেয়ে আবদার জুড়ে বসেন কংগ্রেস কর্মীরা— ‘‘আপনি রায়বরেলী থেকেই লড়ুন। গোটা পূর্বাঞ্চলে তা হলে হাওয়া উঠে যাবে।’’
হাসতে হাসতে অনেকটা রসিকতার ছলে প্রিয়ঙ্কা তাঁদের বললেন, ‘‘যদি বারাণসী থেকে লড়ি?’’
গত কালই রাহুল গাঁধীর কেন্দ্র অমেঠীতে দাঁড়িয়ে প্রিয়ঙ্কা বলেছিলেন, দল চাইলে তিনি ভোটে লড়তেই পারেন। তা শুনেই বিজেপি সজাগ হয়ে ওঠে। আজ তাঁর মুখে খোদ প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী কেন্দ্রের কথা শুনে বিজেপির রক্তচাপ কিছুটা বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী এখন প্রিয়ঙ্কার ধাঁচে জনসভায় প্রথমে ‘বোন’, পরে ‘ভাই’ বলতে শুরু করেছেন। বিজেপির নেতারা বলছেন, ‘‘বারাণসীতে মোদীকে হারাতে পারেন, এমন কোনও নেতা নেই। তবু প্রিয়ঙ্কা প্রার্থী হলে নতুন করে কৌশল রচনা করতে হবে।’’
উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসও রাহুল আর প্রিয়ঙ্কার যৌথ জনসভার পরিকল্পনা করছে। এক ডজনের বেশি।
প্রিয়ঙ্কা পূর্ব উত্তরপ্রদেশের সাধারণ সম্পাদক হলেও যৌথ সভা রাজ্যের পশ্চিম প্রান্তেও করার পরিকল্পনা হচ্ছে। সহারানপুরে ৭ এপ্রিল রাহুল-প্রিয়ঙ্কার যৌথ সভা হতে পারে।
কংগ্রেস সূত্রের মতে, সহারানপুর, গাজিয়াবাদ, কানপুর, ফৈজ়াবাদ, ঝাঁসি, কুশীনগর, প্রতাপগড়, ইলাহাবাদ, বরাবাঁকি, আলিগড়ের পাশাপাশি মোদীর বারাণসীতেও যৌথ সভার পরিকল্পনা হচ্ছে। তবে আজ প্রিয়ঙ্কা বললেও বারাণসী থেকে তাঁর লড়াইয়ের সম্ভাবনা কম। কংগ্রেসের এক নেতার কথায়, ‘‘প্রিয়ঙ্কা ২০২২ সালে বিধানসভা ভোটের জন্য দলের সংগঠনকে শক্তিশালী করছেন। তাঁর পুরো জোরটাই সে দিকে।’’ গত কাল কর্মীদের সঙ্গে আলাপচারিতাতেও ঠিক এ কথাই বলেছেন প্রিয়ঙ্কা। তিনি বলেন, ‘‘২০১৯ সালের প্রস্তুতি সম্পূর্ণ। কিন্তু ২০২২ সালের প্রস্তুতি করুন। সরকার আমরাই গড়ব।’’
বিজেপি আজ অমেঠী-রায়বরেলীর একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করে। যেখানে কিছু লোক প্রিয়ঙ্কাকে ঘিরে বলছেন, ‘‘পাঁচ বছর পর আপনি এলেন। রাহুল গাঁধীরও দেখা নেই।’’ ‘প্রিয়ঙ্কা গাঁধী মুর্দাবাদ’ ধ্বনিও শোনা যাচ্ছে ভিডিয়োয়।
আজই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপির প্রচার নিয়ে কংগ্রেস কর্মীদের সতর্ক করে প্রিয়ঙ্কা বলেন, ‘‘বিজেপির ‘হোয়াটসঅ্যাপ বিশ্ববিদ্যালয়’ থেকে দূরে থাকুন! সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক ‘ভুয়ো খবর’ চলে। সেগুলির যথাযথ মোকাবিলা করতে হবে।’’ পাশাপাশি আরএসএসকে এক হাত নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘যারা কখনও স্বাধীনতা আন্দোলনে শরিক হয়নি, তাদের থেকে জাতীয়তাবাদের সার্টিফিকেট নেওয়ার কোনও প্রয়োজন আমাদের নেই। ওরা তো ব্রিটিশদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করত।’’