পশ্চিমবঙ্গে জোটের আবহ, কেরলে সিপিএমকে খোঁচা রাহুলের

কেরলে কর্মহীনতার অভিযোগ এনে পিনারাই বিজয়ন সরকারকে আক্রমণ করেন তিনি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০১৯ ০২:১০
Share:

ক্যামেরাবন্দি: ত্রিশূরে মৎস্যজীবীদের সভায় রাহুল গাঁধী। বৃহস্পতিবার। ছবি: পিটিআই।

পশ্চিমবঙ্গে জোটের আবহেও কেরলে সিপিএমকে নিয়ে সুর চড়ালেন রাহুল গাঁধী। সম্প্রতি রাজ্যে যুব কংগ্রেসের কয়েক জন কর্মীর খুনের প্রসঙ্গ টেনে কংগ্রেস সভাপতি এ দিন অভিযোগ করেন, সিপিএম ও বিজেপির মতো দল সন্ত্রাসকেই টিঁকে থাকার অস্ত্র হিসেবে বেছে নিয়েছে। কেরলে কর্মহীনতার অভিযোগ এনে পিনারাই বিজয়ন সরকারকে আক্রমণ করেন তিনি।

Advertisement

পশ্চিমবঙ্গে সিপিএমের সঙ্গে জোটের পথে হাঁটছে কংগ্রেস। তামিলনাড়ুতেও কংগ্রেস-ডিএমকে জোটের সঙ্গে রয়েছে সিপিএম-সিপিআই। আসনরফাও হয়েছে। জাতীয় রাজনীতিতে মোদীর বিরোধিতায় বামেদের পাশে এসেছে কংগ্রেস। তা সত্ত্বেও কেরলের রাজ্য রাজনীতির কারণেই সিপিএমকে নিশানা করেছেন কংগ্রেস সভাপতি। রাজ্যে সঙ্ঘ তথা বিজেপি নিজেদের ক্রমশ প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে। এই প্রেক্ষাপটে সন্ত্রাস ছড়ানোর অভিযোগ এনে সিপিএম ও সঙ্ঘকে একাসনে বসিয়েছেন রাহুল।

গত ফেব্রুয়ারিতে রাজ্যের মাত্তানুর এলাকায় যুব কংগ্রেস কর্মী সোয়ের খুন হয়। অভিযোগের তির সিপিএম কর্মীদের দিকে। শাসক বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের কয়েক জন কর্মীকেও ওই খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাহুল এ দিন বিমানবন্দরে সোয়েবের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন। গত মাসে খুন হওয়া আরও দুই কংগ্রেস কর্মী কৃপেশ ও সারথ লালের বাড়িতেও যান রাহুল। নিহত কংগ্রেস কর্মীর পরিবারের সদস্যদের বলেন, দোষীরা যাতে শাস্তি পায়, তা নিশ্চিত করবেন তিনি। পরে জনসভায় দলের কর্মীদের হত্যার প্রসঙ্গ টানেন রাহুল।

Advertisement

আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

‘সারা ভারত মৎস্যজীবী সভা’-র অনুষ্ঠানে রাহুল প্রতিশ্রুতি দেন, লোকসভা ভোটের পরে কংগ্রেস সরকারে এলে মৎস্যজীবীদের স্বার্থ দেখতে একটি আলাদা মন্ত্রক গড়ে তোলা হবে। মোদীকে নিশানা করে তিনি বলেন, ‘‘যখন কোনও প্রতিশ্রুতি দিই, সেটা করব বলে ঠিক করেছি বলেই কথাটা বলি। আমি মোদীর মতো নই। মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিই না।’’ তাঁর মন্তব্য, ‘‘কংগ্রেস সবার কথা শোনে। মানুষের উপর কোনও কিছু চাপিয়ে দেয় না।’’ অনিল অম্বানী, নীরব মোদীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সম্পর্কের কথা টেনে রাহুল বলেন, ‘‘ওঁরা যা বলেন, মোদী ১০ মিনিটে তা শুনে নেন। সে জন্য জোরে কথা বলতে হয় না, ফিসফিস করে বললেও চলে। আর কৃষক, মৎস্যজীবী, ছোট ব্যবসায়ীদের কথা সরকারকে জানাতে চিৎকার করতে হয়।’’

আরও পড়ুন: আজ-হারেও সব ‘দোষ’ নেহরুর! মাসুদ নিয়ে বিজেপি-কংগ্রেসের নতুন বিতর্কের চিত্রনাট্য

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement