হেঁটে তিরুপতি দর্শন রাহুলের

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, গত লোকসভা নির্বাচনে মোদী নিয়ম করে তারুণ্য এবং যুব সমাজের কথা বলতেন। সাড়ে তিন হাজার সিঁড়ি পার করে পরোক্ষে রাহুল তারুণ্যের বার্তাই দিয়েছেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

তিরুপতি শেষ আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০২:৪৮
Share:

তিরুপতি মন্দিরে রাহুল গাঁধী। ছবি: পিটিআই।

দু’ঘণ্টা ধরে প্রায় সাড়ে তিন হাজার সিঁড়ি ভেঙে তিরুমালা পাহাড়ের তিরুপতি মন্দিরে পৌঁছে পুজো দিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। এর পর প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ পদযাত্রা করলেন। এবং তার মধ্যেই এক সভায় কৃষিঋণ মকুব নিয়ে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। কংগ্রেসের একাংশের মতে, রাহুলের তিরুপতি দর্শন আসলে পরোক্ষে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ।

Advertisement

বিশেষ বিমানে আজ সকালে ১০টা ৫০ নাগাদ তিরুপতি পৌঁছন রাহুল। সঙ্গে ভাগ্নে রেহান বঢরা। আধ ঘণ্টার মধ্যে কংগ্রেস সভাপতি পৌঁছে যান আলিপিড়িতে। সেখান থেকে বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ পাহাড়ের উপরে তিরুপতি মন্দিরের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। রাহুলের সঙ্গে ছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের কংগ্রেস নেতা এবং হাজার খানেক দলীয় কর্মী। মন্দিরে যাত্রাপথে একটি অতিথিশালায় অল্প কিছুক্ষণের জন্য বিশ্রাম নেন রাহুল। মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, সোনালি পাড়ের সাদা ধুতি এবং পাঞ্জাবি পরিহিত কংগ্রেস সভাপতি প্রায় ২০ মিনিট মন্দিরে ছিলেন। পুজোর পর তাঁকে একটি সিল্কের চাদর, প্রসাদ এবং একটি স্মারক উপহার দেন মন্দির কর্তৃপক্ষ।

কংগ্রেস নেতাদের একাংশ মনে করিয়ে দিচ্ছেন, গাঁধী পরিবারে অনেকেই একাধিক বার তিরুপতি মন্দির দর্শন করেছেন। ইন্দিরা গাঁধী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন দু’বার দক্ষিণের ওই মন্দিরে গিয়েছিলেন। কিন্তু রাহুলই গাঁধী পরিবারে প্রথম সদস্য, যিনি হেঁটে মন্দিরে গেলেন। বছর কয়েক আগে পায়ে হেঁটেই রাহুল গিয়েছিলেন কৈলাস তীর্থে। সেই সময় অনেক কংগ্রেস নেতা বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মুখে হিন্দুত্বের কথা বললেও এত পরিশ্রম করে কি তিনি কৈলাসে যাবেন? ঠিক সেই ভাবে কংগ্রেস নেতাদের একাংশ আজ প্রশ্ন করতে শুরু করেছেন, মোদী কি এ ভাবে হেঁটে তিরুপতি মন্দিরে যেতে পারবেন? এক কংগ্রেস নেতার কথায়, ‘‘মুখে হিন্দুত্বের কথা বলা আর কঠোর পরিশ্রম করে মন্দিরে পুজো দিতে যাওয়া এক নয়।’’

Advertisement

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, গত লোকসভা নির্বাচনে মোদী নিয়ম করে তারুণ্য এবং যুব সমাজের কথা বলতেন। সাড়ে তিন হাজার সিঁড়ি পার করে পরোক্ষে রাহুল তারুণ্যের বার্তাই দিয়েছেন।

তিরুপতিতে কংগ্রেসের পদযাত্রায় ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। সেখানেই একটি সমাবেশে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করে বলেন, ‘‘মোদী বড় বড় শিল্পপতিদের ঋণ মকুব করেন। কিন্তু কৃষকদের ঋণ মকুব করতে পারেন না।’’ কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে কৃষিঋণ মকুবের প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। পাশাপাশি অন্ধ্রপ্রদেশকে ‘স্পেশাল ক্যাটেগরি স্ট্যাটাস’ দেবে বলে এ দিন ফের জানিয়েছেন রাহুল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন