শিবসেনার পর এ বারে বিজেপির সঙ্গত্যাগের হুঁশিয়ারি দিয়ে দিলেন রামবিলাস পাসোয়ানও। আর এনডিএ-শরিকদের অসন্তোষে সুরে মেলাল রাহুল গাঁধীর দলও।
কয়েক দিন ধরেই রামবিলাস দাবি করে আসছেন, দলিতদের আইন লঘু করা যাবে না। সরকারকে অধ্যাদেশ আনতে হবে। আর সুপ্রিম কোর্টের যে প্রাক্তন বিচারপতি এ কে গয়ালের বেঞ্চ এই আইনকে লঘু করেছিলেন, অবসরের দিনই তাঁকে উপহার দেওয়া হয়েছিল জাতীয় গ্রিন ট্রাইবুনালের চেয়ারম্যান পদ। সেই পদ থেকেও তাঁকে সরাতে হবে। রামবিলাসের পুত্র চিরাগ ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে অসন্তোষ জানিয়েছেন। আজও তিনি বলেন, সরকার দাবি না মানলে ৯ অগস্ট দলিতদের আন্দোলনে তাঁরাও সামিল হবেন। মানুষ ও সরকারের মধ্যে বাছতে হলে জনতার পাশেই থাকবেন।
সঙ্গে সঙ্গে কংগ্রেস মন্তব্য করে, ‘‘যাক, সুমতি হয়েছে!’’ গত কালও কংগ্রেসের নেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে দলিতদের অসন্তোষ নিয়ে লোকসভায় সরব হয়েছিলেন। গ্রিন ট্রাইবুনাল থেকে গয়ালের অপসারণও চেয়েছেন। শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে আগেই ‘একলা-চলো’র ঘোষণা করেছেন। অমিত শাহের মধ্যস্থতায়ও বরফ গলেনি। বরং অমিত শাহ এখন দলকে একা লড়ার প্রস্তুতি নিতে বলছেন।
ঘটনাচক্রে আজই উদ্ধবের জন্মদিন। তিনি টুইটারে না থাকলেও সকাল সকাল রাহুল তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। যা দেখে বিজেপির অনেকের কপালে ভাঁজ পড়েছে। তা হলে কি নতুন অক্ষ তৈরি হচ্ছে? প্রধানমন্ত্রী তখন বিদেশে। কিন্তু রাহুল শুভেচ্ছা জানানোর খবর পৌঁছতে নরেন্দ্র মোদীও উদ্ধবকে অভিনন্দন জানিয়ে দেন টুইটারে। সেখানেই থামেননি। অসুস্থ করুণানিধির খোঁজ নিতে এম কে স্ট্যালিন ও কানিমোঝিকে ফোন করে সেটি টুইটারে প্রচারও করেছেন। রাহুল গাঁধী, সীতারাম ইয়েচুরিরাও স্ট্যালিনকে ফোন করেছিলেন। তবে তাঁরা সেটি প্রচার করেননি। মোদী টুইট করার পরেই স্ট্যালিনও টুইট করে ফোন করার জন্য রাহুল, ইয়েচুরি ও ডি রাজাকে ধন্যবাদ জানান। কিন্তু মোদীর কথা উল্লেখও করেননি।
কংগ্রেসের নেতারা বলছেন— চেষ্টা করেও মোদী বিরোধী শিবিরে ফাটল ধরাতে পারবেন না। বরং রাহুলই এনডিএ শিবির থেকে দল ভাঙ্গিয়ে আনবেন। ইতিমধ্যেই তিনি সংসদে বলেছেন, বিজেপির সকলকে কংগ্রেসে নিয়ে আসবেন। অচিরে বিজেপিতে শুধু নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ একা পড়ে থাকবেন।