নরেন্দ্র মোদীর দলের ভূয়সী প্রশংসায় শিবসেনা-প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। ছবি: পিটিআই।
রামমন্দির নির্মাণ ও জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা অবলুপ্তির বিষয়ে বিজেপি-র নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিকে পূর্ণ সমর্থন দিল শরিক দল শিবসেনা। রাহুল গাঁধী যতই কটাক্ষ করুন না কেন, শিবসেনার থেকে একশোয় দু’শো নম্বর পেল নরেন্দ্র মোদীর-র দলের নির্বাচনী ইস্তাহার।
কেন্দ্র ও মহারাষ্ট্রে বিজেপি-র শরিক দল শিবসেনার মতে, দেশের অখণ্ডতার সঙ্গে সমঝোতা করা যাবে না। সেই সঙ্গে উদ্ধব ঠাকরের দলের দাবি, রামমন্দির নির্মাণের জন্য শেষ সুযোগ রয়েছে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে। সেনার মুখপত্র ‘সামনা’-র সদ্যপ্রকাশিত সম্পাদকীয়তে এমনটাই লেখা হয়েছে।
কৃষকদের সমস্যা বা বেকারত্বের মতো জ্বলন্ত ইস্যুগুলিকে গুরুত্ব না দিয়ে দেশভক্তির তাস খেলে কেবলমাত্র জাতীয়তাবাদের আবেগেই লোকসভা নির্বাচনী বৈতরণী পার করতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহরা। বিজেপি-র নির্বাচনী ইস্তাহার বা ‘সংকল্প পত্র’ প্রকাশিত হওয়ার পর বিরোধীদের, বিশেষ করে কংগ্রেসের অভিযোগ ছিল এমনটাই। তবে ‘সামনা’র সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, ‘বিজেপি-র ‘সংকল্প পত্রে’ দেশের আবেগই প্রতিফলিত হয়েছে। এমনকি, শিবসেনারও দাবিদাওয়া এতে ঢোকানো হয়েছে। ফলে, আমরা একে ১০০-র মধ্যে ২০০ নম্বর দেব।’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
আরও পড়ুন: ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত মোদীর বায়োপিকের মুক্তি নয়, নিষিদ্ধ ঘোষণা করল কমিশন
আরও পড়ুন: মোদী জিতলে বাজি পুড়বে পাকিস্তানে? ইমরানের সমর্থন নিয়ে খোঁচা বিরোধীদের
নরেন্দ্র মোদীর দলের ভূয়সী প্রশংসা করলেও জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা ও মেহবুবা মুফতির কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছেন শিবসেনা-প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। এর আগে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা অবলুপ্তির জন্য ৩৭০ ও ৩৫এ ধারা বাতিলের বিজেপি-র প্রতিশ্রুতির বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ওমর আবদুল্লা ও মেহবুবা মুফতি। ওই ধারাগুলি বাতিল করা হলে জম্মু-কাশ্মীরের স্বাধীনতার বা ভিন্ন প্রধানমন্ত্রীরও দাবি তোলা হবে হুমকি দিয়েছিলেন তাঁরা। এর তীব্র সমালোচনা করে ‘সামনা’-র সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, ‘এই ধরনের মানুষের মুখ বন্ধ করে দেওয়া উচিত...ফারুক আবদুল্লা, এমনকি এ-ও বলেছিলেন, রাজ্যের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেওয়া হলে তাঁরা দেখে নেবেন, কারা ভারতের পতাকা উত্তোলন করে! এই ধরনের লোকেদের জিভ কেটে নেওয়া উচিত।’
(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরাবাংলা খবরপেতে পড়ুন আমাদেরদেশবিভাগ।)