দিগ্বিজয়ের টক্করে কি শিবরাজ!

দিগ্বিজয়ের মোকাবিলায় রাজ্যের আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান দাঁড়াতে পারেন বলে জল্পনা শুরু হয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ভোপাল শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০১৯ ০৪:৪৪
Share:

গত তিন দশক ধরে মধ্যপ্রদেশের ভোপাল কেন্দ্রটি দখলে রেখেছে বিজেপি। এ বার সেই কেন্দ্রেই প্রার্থী হিসেবে দলের প্রবীণ নেতা ও রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিংহের নাম ঘোষণা করেছে কংগ্রেস। আর তার জেরে ভোপাল কেন্দ্রের প্রার্থী নিয়ে বিজেপিও নতুন করে চিন্তা-ভাবনা শুরু করেছে। দিগ্বিজয়ের মোকাবিলায় রাজ্যের আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান দাঁড়াতে পারেন বলে জল্পনা শুরু হয়েছে।

Advertisement

গত কাল মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ জানিয়ে দেন, ভোপাল থেকে কংগ্রেসের প্রার্থী হচ্ছেন দিগ্বিজয়। যা শুনে খানিকটা বিস্মিত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞেরা। কারণ, ১৯৮৯ সাল থেকে এই আসন রয়েছে বিজেপির দখলে। এই কেন্দ্র থেকে শেষ বার কংগ্রেসের হয়ে জিতেছিলেন শঙ্করদয়াল শর্মা। সেটা ১৯৮৪ সাল। ১৯৮৯-তে বিজেপির সুশীলচন্দ্র বর্মা এই আসনে জেতেন। বর্তমানে বিজেপি নেতা অলোক সঞ্জরের জেতা আসন এটি। বিজেপি নেত্রী উমা ভারতীও এক সময়ে ভোপাল থেকে জিতেছিলেন। বিজেপির সেই গড়ে দিগ্বিজয়ের নাম দেখে বিজেপি শিবিরের অঙ্কও গুলিয়ে গিয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে।শিবরাজ তিন বার মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। বিদিশা লোকসভা কেন্দ্র থেকে টানা ১৫ বছর জিতে এসেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে বুধনি কেন্দ্র থেকে দাঁড়ান শিবরাজ। শিবরাজের আগে শহরের মেয়র অলোক বর্মা অথবা বিজেপির রাজ্য সভাপতি ভি ডি শর্মাকে ভোপাল কেন্দ্র থেকে দাঁড় করানোর কথা ভাবছিল বিজেপি। কিন্তু কংগ্রেস কাল তাদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করার পরে শিবরাজের নাম নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে। যদিও বিজেপিরই একটি সূত্র আবার জানাচ্ছে, মালেগাঁও কাণ্ডে অভিযুক্ত বিজেপি নেত্রী সাধ্বী প্রজ্ঞা ভোপাল থেকে দাঁড়ানোর ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও কিছুই হয়নি। দিগ্বিজয় ঘনিষ্ঠেরা অবশ্য জানাচ্ছেন, প্রবীণ কংগ্রেস এই নেতা নিজে ভোপাল থেকে দাঁড়াতে চাননি। চেয়েছিলেন, তাঁর ঘরের মাঠ রাজগড় থেকে লড়তে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ প্রকাশ্যেই জানান, দল চাইছে দিগ্বিজয় কোনও চ্যালেঞ্জিং কেন্দ্র থেকে দাঁড়ান। সে জন্যই ভোপালের জন্য দিগ্বিজয়ের নাম ঘোষণা করা হয়। সেই সিদ্ধান্ত জানার পরে দিগ্বিজয় বলেছেন, ‘‘রাহুলজি যে কেন্দ্র থেকে চাইবেন, সেখানেই দাঁড়াতে রাজি আছি।’’

আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন