Lok Sabha Election 2019

বৈধ নির্বাচনী বন্ড, ৩০ মে-র মধ্যে বন্ডক্রেতা সম্বন্ধে জানাতে হবে কমিশনকে: সুপ্রিম কোর্ট

বছর কয়েক আগে এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির ঘোষণার পর সরকার বিজ্ঞপ্তি জারি করে, ১ হাজার, ১০ হাজার, ১ লক্ষ, ১০ লক্ষ ও ১ কোটি টাকা মূল্যের বন্ড পাওয়া যাবে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০১৯ ১১:০৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

নির্বাচনী বন্ড বৈধ। তবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে জানাতে হবে কারা এই বন্ড কিনেছেন। নির্বাচনী প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর ৩০ মে’র মধ্যে মুখবন্ধ খামে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য কমিশনকে জানাতে হবে রাজনৈতিক দলগুলিকে। শুক্রবার নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলায় প্রেক্ষিতে এই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট

Advertisement

ভোটে কালো টাকার খেলা বন্ধ করার জন্য নির্বাচনী বন্ড চালু করেছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। বছর কয়েক আগে এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির ঘোষণার পর সরকার বিজ্ঞপ্তি জারি করে, ১ হাজার, ১০ হাজার, ১ লক্ষ, ১০ লক্ষ ও ১ কোটি টাকা মূল্যের বন্ড পাওয়া যাবে। একই সঙ্গে ঘোষণা করা হয়েছিল, কোনও ব্যক্তি বা কর্পোরেট সংস্থা রাজনৈতিক দলগুলিকে চাঁদা দিতে চাইলে, তিনি বন্ড কিনে দলের হাতে তুলে দেবেন। রাজনৈতিক দলগুলিকে নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে সেই বন্ড ভাঙিয়ে নিতে হবে।

কিন্তু, এর পরই বিষয়টির স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। বিরোধী দল ও নির্বাচনী প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেন, এতে অস্বচ্ছতাই বাড়বে। বিশ্বের কোনও দেশেই এমন ব্যবস্থা নেই, বন্ড ভাঙাচ্ছে রাজনৈতিক দল। ফলে কোন কর্পোরেট সংস্থা কাকে ভোটে সাহায্য করছে, তার বিনিময়ে সরকারের থেকে কী সুবিধে আদায় করছে, তা কিছুই বোঝা যাবে না। উল্টো দিকে সরকারের যুক্তি, চাঁদা কারা দিচ্ছেন তা প্রকাশ করতে গেলে এত দিনের মতো নগদে, কালো টাকার লেনদেনই হবে। শেষ পর্যন্ত বিষয়টি গড়ায় আদালতে। একটি অসরকারি সংস্থা নির্বাচনী বন্ড প্রকল্পের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে যায়।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

এসবিআইয়ের থেকে এই বন্ড কিনে দলকে দিতে হয়, তারা বন্ডের বিনিময়ে টাকা নেয় ব্যাঙ্ক থেকে। কিন্তু বন্ডক্রেতার নাম-পরিচয় গোপন থাকে। আদালতে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার আবেদন, নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই প্রকল্প স্থগিত রাখা হোক নয়তো কোন ব্যক্তি বা সংস্থা বিভিন্ন দলকে বন্ডের মাধ্যমে অনুদান দিচ্ছেন বা দিচ্ছে, তা সর্বসমক্ষে প্রকাশ করা হোক। নির্বাচনে স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য তা একান্ত প্রয়োজনীয়। এ দিন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বেঞ্চ এ বিষয়ে অন্তর্বর্তিকালীন নির্দেশিকা জারি করল।

আরও পড়ুন: ‘হাওয়া’ বনাম ‘২০০৪’

রায় ঘোষণার পর গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানায়, ‘‘আমরা বিষয়টি বিবেচনা করেছি। নির্বাচন কমিশনের অবস্থা নিয়ে আলোচনা করেছি। বিষয়টি নিয়ে আরও পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন। অল্প সময়ের মধ্যে এ কাজ সম্পূর্ণ করা সম্ভব নয়। যাতে কোনও পক্ষপাতিত্বমূলক ঘটনা না ঘটে, সে জন্য এ দিন অন্তর্বর্তিকালীন নির্দেশ দেওয়া হল।’’

(ভারতের রাজনীতি, ভারতের অর্থনীতি- সব গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন