প্রতীকী ছবি।
ভোটের প্রথম দিনের পরীক্ষায় পাশ করল কাশ্মীর। তবে উত্তরে বড়সড় ঘটনা না ঘটলেও অন্ধ্রে হিংসার বলি হলেন দু’জন। সকাল সাড়ে দশটাতেই মহারাষ্ট্রের গড়চিরৌলির ওয়াগহেজারি গ্রামে বুথের বাইরে আইডি বিস্ফোরণ ঘটাল মাওবাদীরা। তবে প্রাণহানি হয়নি। এ দিনই ছত্তীসগঢ়ের বস্তার লোকসভা কেন্দ্রের ওরচা এলাকায় স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে এক মাওবাদী নিহত হয়েছে। সংঘর্ষে আহত এসটিএফের এক জওয়ান।
ভোট ছিল কাশ্মীরের দু’টি কেন্দ্র— জম্মু ও বারামুলায়। জম্মু, সাম্বা, পুঞ্চ ও রাজৌরির ২০টি বিধানসভা এলাকা জুড়ে জম্মু লোকসভা কেন্দ্রটি। রাজ্যে হিংসার বড় কোনও ঘটনা নেই। তবে পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি টুইটারে একটি ভিডিয়ো শেয়ার করে দাবি করেছেন, বিজেপিকে ভোট না-দিলেই বিএসএফ হেনস্থা করছে ভোটারদের।
বরং হিংসার ঘটনা ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশে। রাজ্যের ২৫টি লোকসভা আসনের পাশাপাশি বিধানসভার ১৭৫টি কেন্দ্রে ভোট ছিল আজ। সকাল থেকেই অন্ধ্রের বিভিন্ন এলাকায় শ’চারেক ইভিএমে যান্ত্রিক ত্রুটির খবর আসতে থাকে। যা নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। ইভিএম বিতর্ক সামনে আসতেই চন্দ্রবাবু নায়ডু ব্যালটে ভোট করানোর দাবি তোলেন। ইভিএমে দলের প্রতীক ঠিক ভাবে দেখা যাচ্ছে না, এই অভিযোগ তুলে গুণ্টাকল কেন্দ্রে পবণ কল্যাণের দল জনসেনার প্রার্থী ও রাজ্যের প্রাক্তন বিধায়ক মধুসূদন গুপ্ত ভোটের টেবিল থেকে ইভিএম ছুড়ে ফেলেন মেঝেতে। পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ভোট শুরু হতেই চন্দ্রবাবুর তেলুগু দেশম ও জগন্মোহন রেড্ডির ওয়াইএসআর কংগ্রেসের সমর্থকদের মধ্যে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের খবর আসে কাপাডা, গুন্টুর, প্রকাশম জেলাগুলি থেকে। অনন্তপুর জেলার ভীরাপুরম গ্রামে জগন ও চন্দ্রবাবুর দলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে দু’পক্ষেরই এক জন করে কর্মী নিহত হন। রাজ্যে ৩৬২টি ইভিএমে গোলযোগের মধ্যেই মুখ্য নির্বাচনী অফিসার গোপালকৃষ্ণ দ্বিবেদী তাদেপাল্লী কেন্দ্রে ভোট দিতে যান। ভিভিপ্যাট মেশিনটি কাজ করেনি সেই সময়েও। তেলঙ্গানাতেও ইভিএমের গোলমালের জন্য বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ দেরিতে শুরু হয়।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
উত্তরপ্রদেশের কৈরানা কেন্দ্রে পরিচয়পত্র ছাড়াই কয়েক জন জোর করে বুথে ঢুকতে চাইলে বাধা দেয় বিএসএফ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শূন্যে গুলি চালিয়েছে আধাসেনা।
ওড়িশার মালকানগিরি জেলার চিত্রকোণ্ডায় ছ’টি বুথে আজ একটিও ভোট পড়েনি বলে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা। সরকারি সূত্রের বক্তব্য, মাওবাদী হানার আশঙ্কাতেই ভোট হয়নি সেখানে। তবে স্থানীয়দের একাংশের দাবি, অনুন্নয়নের প্রতিবাদে কিছু এলাকায় ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন গ্রামবাসীরা।