হাসতে হাসতে ভাবার খোরাক বুলেটিন, প্রশ্ন-ব্যাঙ্ক

লোকসভা নির্বাচনে এ বার প্রচারের অভিনব কৌশল নিচ্ছে বামেদের যুব সংগঠন। সেই লক্ষ্যেই এ বার উদ্যোগ বুলেটিন তৈরির।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০১৯ ০২:৩১
Share:

ভোটে হাতিয়ার বাম বুলেটিন।

প্রথমে পাঠানো হচ্ছিল পোস্টকার্ড। এ বার ‘ছোট কাগজ বড় খবর’! পাঠকের বাড়িতে যা পৌঁছে যাবে রোজকার কাগজের ভাঁজে। আবার পরীক্ষার জন্য তৈরি হতে পড়ুয়াদের যা কাজে লাগে, সেই আদলে ‘কোয়েশ্চেন ব্যাঙ্ক’ দেওয়া হবে যুব ভোটারদের হাতে।

Advertisement

লোকসভা নির্বাচনে এ বার প্রচারের অভিনব কৌশল নিচ্ছে বামেদের যুব সংগঠন। সেই লক্ষ্যেই এ বার উদ্যোগ বুলেটিন তৈরির। কেন্দ্রের বিজেপি এবং রাজ্যের তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সিপিএমের রাজনৈতিক বক্তব্য সহজ ভঙ্গিতে এবং মজার মোড়কে তুলে ধরা হবে ৮ পাতার বুলেটিনে। ট্যাবলয়েড আকারের ওই বুলেটিন হকারদের সাহায্য নিয়ে খবরের কাগজের মধ্যে দিয়ে দেবেন ডিওয়াইএফআইয়ের কর্মীরা। যে ভাবে খবরের কাগজের পাতার ভাঁজে পাঠকের কাছে বিজ্ঞাপনের প্রচারপত্র পৌঁছয়, সে ভাবেই তাঁদের হাতে বুলেটিন ধরাতে চাইছে সিপিএমের যুব সংগঠন।

প্রথাগত খবরের কাগজের মতোই এই বুলেটিনে ব্যবসা থেকে খেলা—নানা খবরের নানা পাতা থাকছে। সেখানেই বিষয় ধরে ধরে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের ‘ব্যর্থতা’। সেই সঙ্গে থাকছে মজার নানা বিজ্ঞপ্তি ও বিজ্ঞাপন। অবশ্যই ব্যঙ্গাত্মক, তবে রাজনৈতিক বার্তায় ভরপুর! যেমন, সংবাদমাধ্যমে বুথ-ফেরত সমীক্ষার (এগ্জিট পোল) আদলে ‘এক চিট পোল’-এ জানতে চাওয়া হচ্ছে: সারদা-কাণ্ডের তদন্ত কবে শেষ হবে? ২০৩২, ২০৪২, ২০৫২ সাল নাকি কোনও দিনই নয়— এর মধ্যে থেকে বাছতে হবে উত্তর! তেমনই আবার বিজ্ঞপ্তি আছে, বন্ধ কারখানার জমিতে গড়ে তোলা হচ্ছে ‘সারা বাংলা অনুপ্রাণিত তোলা আদায় সমিতি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়।

Advertisement

ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সায়নদীপ মিত্রের কথায়, ‘‘মানুষ একটু হাসবেন। হাসতে হাসতেই ভাববেন। এই লক্ষ্যেই ছোট কাগজে বড় খবর আমরা রাজ্যের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে চাই।’’

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

মোট ৫০টি প্রশ্ন সাজিয়ে প্রশ্ন-ব্যাঙ্ক তৈরি করছে ফরওয়ার্ড ব্লকের যুব লিগ। মূলত কলকাতায় বিলি করা হবে সেই প্রশ্ন-পুস্তিকা। ভোটারদের কাছে যুব লিগের আর্জি, বাম থেকে ডান— যে কোনও প্রার্থী ভোট চাইতে এলে তাঁকে এর থেকে প্রশ্ন ধরে সেই দলের অবস্থান জেনে নিন। যেমন, প্রশ্নের মধ্যে আছে: ভোটারদের অনুমতি না নিয়েই জনপ্রতিনিধিরা দল ও অবস্থান পরিবর্তন করছেন। এই প্রবণতা রুখতে আরও কঠিন আইন করা উচিত? যুব লিগের নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, ‘‘দেশে এ বার চার কোটি নতুন ভোটার, এ রাজ্যে প্রায় ২০ লক্ষ। তাঁদের সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যেই এমন চেষ্টা।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement