কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী।- ফাইল চিত্র।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দেখানো পথেই হাঁটলেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী! হয়ে উঠতে চাইলেন কৃষকবন্ধু।
রাজ্য বিধানসভায় তাঁর জোট সরকারের প্রথম বাজেট প্রস্তাবে বৃহস্পতিবার ভোটের প্রতিশ্রুতি রাখতে কৃষিঋণ মকুবের ঘোষণা করলেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী। বীজ রোপন থেকে শুরু করে শস্যের ফলনের বিভিন্ন পর্যায়ে কৃষকদের নেওয়া ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ মকুব করা হল। যার জন্য কর্নাটক সরকারকে ৩৪ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘাটতির বোঝা কাঁধে নিতে হবে। বকেয়া মকুব করে ঋণখেলাপি কৃষকদের সামনে ফের ঋণ পাওয়ার রাস্তাও খুলে দেওয়া হল। যার জন্য বাজেটে সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করছে কর্নাটক সরকার।
কুমারস্বামী এও জানিয়েছেন, যে কৃষকরা নিয়মিত সুদ দেন বা তাঁরা যতটা ঋণ শোধ করেছেন, উৎসাহিত করতে তাঁদের থোক ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।
এই সপ্তাহেই ধান-সহ বিভিন্ন শস্যের সহায়ক মূল্য বাড়ানোর ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। রবিবার কর্নাটকে কংগ্রেস এবং জেডি (এস)-এর সমন্বয় কমিটির বৈঠকে ওই কৃষিঋণ মকুবের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন- রোজ ৩৫০ কিলোমিটার পাড়ি দেন এই মন্ত্রী, কেন জানেন?
আরও পড়ুন- ‘কারও দয়ায় চলি না’, কুমারের তোপে কংগ্রেস
তা ছাড়াও, জলসেচের জন্য আরও ১.২৫ লক্ষ কোটি টাকা বাজেটে বরাদ্দ করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে কংগ্রেস-জেডি (এস) সমন্বয় কমিটি সূত্রের খবর।
মোদী ও কুমারস্বামী, দু’জনের ঘোষণাতেই স্পষ্ট, ভোটে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখার সময় হিসেবে তাঁরা লোকসভা নির্বাচনের আগের বছরটিকেই বেছে নিতে চেয়েছেন।
মে মাসের কর্নাটক বিধানসভা ভোটে মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীর দল জেডি (এস)-এর সাফল্য শহরের তুলনায় অনেকটাই বেশি ছিল জেলাগুলির মফস্সল শহর ও গ্রামাঞ্চলে। রাজ্যে বিধানসভা ভোটের প্রচারে জেডি (এস)-এর তরফে বার বার বলা হয়েছে, ক্ষমতায় আসার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই যাবতীয় কৃষিঋণ মকুব করে দেওয়া হবে।
লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত গ্রামাঞ্চলে পাওয়া ভোটের হার ধরে রাখতে তাদের প্রথম বাজেটে কুমারস্বামী সরকার কৃষিঋণ মকুবের ওপর জোর দিল। বুঝিয়ে দিল, লোকসভা ভোটের আগের বছরে বাড়তি বাজেট ঘাটতির বোঝা কাঁধে নিতে কর্নাটকে কংগ্রেস-জেডি (এস) জোট সরকারের কোনও দ্বিধা নেই।
কৃষিঋণ মকুব করার ফলে বাজেট ঘাটতির বাড়তি বোঝার ভার কিছুটা হাল্কা করতে বিদ্যুৎ শুল্ক ইউনিট-পিছু ২০ পয়সা বাড়ানো হয়েছে। বসানো হয়েছে লেভি। বাড়ানো হয়েছে জ্বালানি-কর। কর্নাটকে পেট্রল ও ডিজেলের দাম লিটার-পিছু যথাক্রমে ১টাকা ১৪ পয়সা এবং ১ টাকা ১২ পয়সা করার কথা বলা হয়েছে বাজেট প্রস্তাবে।