সাতটি বিএমডব্লুউ গাড়ি চায় লোকপাল। ছবি: সংগৃহীত।
সাত বিএমডব্লিউ দরকার। তা-ও আবার যেমন তেমন নয়। একেবারে ‘হাই এন্ড’ মডেল। এই মর্মেই টেন্ডার ডেকেছে দেশের দুর্নীতিদমন কর্তৃপক্ষ লোকপাল। এমনটাই দাবি করা হয়েছে সংবাদমাধ্যম সিএনএন-নিউজ ১৮-এর প্রতিবেদন। সংবাদমাধ্যমের দাবি, এ সংক্রান্ত গত ১৬ অক্টোবরের একটি নথির প্রতিলিপি ঘেঁটে দেখেছে।
দেশে এই মুহূর্তে লোকপালের প্যানেল সাত সদস্যের। চেয়ারপার্সন ছাড়া আর ছয় সদস্য রয়েছেন তাতে। ঘটনাচক্রে, সাতটিই বিএমডব্লিউ-য়ের জন্য টেন্ডার ডাকা হয়েছে বলে দাবি। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নথিতে লেখা হয়েছে, ‘‘ভারতের লোকপাল সাতটি বিএমডব্লিউ ৩ সিরিজ় ৩৩০ লি গাড়ি সরবরাহের জন্য স্বনামধন্য সংস্থাগুলির থেকে দরপত্র আহ্বান করেছেন।’’ দাবি, গাড়ির রংও সাদা হতে হবে বলে নথিতে লেখা হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমের দাবি, যে গাড়িটির কথা বলা হয়েছে, সেটির দাম রেজিস্ট্রেশন-সহ যাবতীয় খরচ মিটিয়ে পড়ার কথা প্রায় ৭০ লাখের মতো। সেই হিসাবে সাতটি গাড়ির দাম হওয়া উচিত অন্তত পাঁচ কোটি টাকা। বরাত দেওয়ার দু’সপ্তাহের মধ্যে সাতটি গাড়ি যাতে দিল্লির বসন্তকুঞ্জের অফিসে পৌঁছে দেওয়া হয়, সে কথাও বলা হয়েছে নথিতে। পাশাপাশি এ-ও বলা হয়েছে, গাড়ির ডেলিভারি দিতে ৩০ দিনের বেশি না লাগে।
১৯৬৩ সাল থেকে ভারতে ‘লোকপাল’ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। অনেক বার বিল পাশের চেষ্টাও হয়। কিন্তু মনমোহন সিংহ সরকারের একেবারে শেষ লগ্নে এসে বিষয়টি মাথাচাড়া দেয়, যখন সমাজকর্মী অণ্ণা হজারে এই নিয়ে আন্দোলন শুরু করেন। অণ্ণার চাপে বিলটি ২০১৩ সালেই পাশ হয়ে যায়। তার পর নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পাঁচ বছর পরেও লোকপাল নিয়োগ হয়নি। আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণদের সংস্থা ‘কমন কজ’ সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার পরে আদালতের চাপে দেশে লোকপাল নিয়োগ হয়।