ব্রডগেজ তৈরির সময় ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা মিটিয়ে দেওয়ার বিষয়ে ২৪ নভেম্বর মালিগাঁওয়ে এন সি হিলস ইন্ডিজেনাস স্টুডেন্ট ফোরামের সঙ্গে বৈঠকে বসার প্রতিশ্রুতি দিল উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল। তার পরিপ্রেক্ষিতে আজ দুপুর সওয়া ২টো নাগাদ লামডিং-শিলচর ব্রডগেজ রেলপথে অবরোধ তুলে নেওয়া হল।
অবরোধের জেরে প্রায় ৫২ ঘণ্টা লামডিং-শিলচর ব্রডগেজ লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। এ দিন দুপুরের পর পাহাড়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। রেল সূত্রে জানানো হয়েছে, দুপুর ৩টে নাগাদ শিলচর থেকে গুয়াহাটিগামী ফাস্ট প্যাসেঞ্জার ট্রেন গন্তব্যে রওনা দেয়। দু’দিন ধরে নিউহাফলং স্টেশনে থমকে থাকা শিলচরগামী ফাস্ট প্যাসেঞ্জার ট্রেনও যাত্রা শুরু করে।
গত রাতে ডিমা হাসাওয়ের জেলাশাসক মনোজ কুমার ইন্ডিজেনাস স্টুডেন্ট ফোরামের সভাপতি ডেভিড কেভমের সঙ্গে আলোচনা করেন। তিনি তাঁদের জানান, রেল অবরোধ করে কোনও কিছু আদায় করা সম্ভব নয়। আলোচনার মাধ্যমে সমাধানসূত্রে খুঁজে বের করতে হবে। তিনি আরও জানান, রেল কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে আলোচনায় রাজি হয়েছে। ডেভিড কেভম তাঁকে জানান, রেলের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে লিখিত প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। এ দিন উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের নির্মাণ শাখার তরফে এ বিষয়ে লিখিত প্রতিশ্রুতি পৌঁছয়। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, রেলের ওই শাখার জেনারেল ম্যানেজার এইচ কে জাগ্গি জেলাশাসককে চিঠিতে জানান— ২৪ নভেম্বর মালিগাঁওয়ে ওই ছাত্র সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে তাঁরা বৈঠক করবেন। সেখানে ক্ষতিপূরণের বিষয়ে নিয়ে কথাবার্তা হবে।
তিন দিন ধরে পাহাড় লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় বরাক-সহ ত্রিপুরা, মণিপুর ও মিজোরামের বাসিন্দারা দুর্ভোগে পড়েছিলেন। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার এ বিষয়ে রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভুর সঙ্গে সঙ্গে কথা বলেন। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, এর পরই উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলকে ওই বিষয়ে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। চাপ বাড়ে ডিমা হাসাওয়ের জেলাশাসকের উপরও। অবরোধ তুলতে মাঠে নামে জেলা প্রশাসন। ছাত্র সংগঠনটির সভাপতি ডেভিড কেভম জানান, রেলের আশ্বাসে সাময়িক ভাবে অবরোধ তোলা হয়েছে। তাঁদের আন্দোলনের জেরে রেল কর্তৃপক্ষ বৈঠকে বসতে রাজি হয়েছে। এরপরও দাবি না মানা হলে ফের আন্দোলন শুরু করা হবে।