দাদার সঙ্গে লড়াইয়ে এগিয়ে গেল ছোট ভাই।
ডিএমকে-র পরবর্তী সভাপতি হিসেবে এম কে স্ট্যালিনকেই বেছে নিচ্ছে দল। চার বছর আগে বহিষ্কৃত, করুণানিধির বড় ছেলে এম কে আলাগিরি এখনও দলে ‘বহিরাগত’ মাত্র। করুণানিধির মৃত্যুর পরে আজ ডিএমকে-র প্রথম বৈঠকে স্পষ্ট হল সেই ছবি। সমর্থকরা জানাচ্ছেন, স্ট্যালিনের জনপ্রিয়তার কাছে ধোপে টিঁকছে না আলাগিরি-কাঁটা।
করুণানিধি মৃত্যুর এক সপ্তাহের মধ্যে দলের নেতৃত্বে নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে দড়ি টানাটানি শুরু হয়। স্ট্যালিনকে উত্তরাধিকারী ঘোষণা করে গিয়েছিলেন করুণানিধি নিজেই। বর্তমানে তিনি কার্যনির্বাহী সভাপতি। যদিও গত কাল বাবার স্মৃতিসৌধে হাজির হয়ে আলাগিরি দাবি করেন, করুণানিধির বিশ্বাসী সমর্থকরা তাঁর সঙ্গেই রয়েছেন। তবে স্ট্যালিনকে নিয়ে আজ দলের উচ্ছ্বাস স্পষ্ট করে দিল, তাদের পরবর্তী নেতা ‘স্নেহের থালাপাথি’ই (দলীয় কর্মীরা এম কে স্ট্যালিনকে এই নামেই ডাকেন)। আজ ডিএমকে-র কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে মুখ্যসচিব দুরাইমুরুগান এই ঘোষণা করা মাত্র জয়ধ্বনি দিয়ে তাতে সমর্থন জানান দলীয় কর্মীরা।
বাবার মৃত্যুর পর আজ প্রথম প্রকাশ্যে মুখ খুলেছেন স্ট্যালিন। এর মাঝে মেরিনা বিচে করুণানিধিকে সমাহিত করতে চেয়ে এডিএমকের সঙ্গে এক দফা সংঘাতে জড়াতে হয়েছে তাঁকে। সেই প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, ‘‘বাবার জন্য জায়গা চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে অনুরোধ করেছি। তিনি রাজি হননি। পরে মাদ্রাজ হাইকোর্ট অনুমতি দিয়েছে।’’ করুণানিধির দীর্ঘদিনের উপদেষ্টা ও দলের শীর্ষস্থানীয় নেতা দুরাইমুরুগান আজ বলেন, ‘‘স্ট্যালিনই আমাদের পরবর্তী সভাপতি।’’