Rape Incidents

পুলিশ একা ধর্ষণ আটকাতে পারে না! অবক্ষয়ের জন্য দায়ী ‘পর্ন’ এবং মদও, দাবি মধ্যপ্রদেশের ডিজিপির

ধর্ষণের মতো ঘটনা আটকানো পুলিশের একার পক্ষে সম্ভব নয়! এমনটাই দাবি মধ্যপ্রদেশ পুলিশের ডিজি কৈলাস মাকওয়ানার। তাঁর বক্তব্য, এই অবক্ষয়ের জন্য দায়ী ইন্টারনেট, পর্নোগ্রাফি এবং মদও।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০২৫ ২২:৫৪
Share:

পুলিশের একার পক্ষে ধর্ষণের মতো ঘটনা আটকানো সম্ভব নয়, মত মধ্যপ্রদেশের ডিজিপির। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

পুলিশ একা ধর্ষণের মতো ঘটনা আটকাতে পারে না! এমনটাই দাবি করেছেন মধ্যপ্রদেশ পুলিশের ডিজি কৈলাস মাকওয়ানা। মোবাইল এবং ইন্টারনেটের দৌলতে পর্নোগ্রাফির সহজলভ্যতার কারণেও ধর্ষণের ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মত মধ্যপ্রদেশের পুলিশকর্তার।

Advertisement

মধ্যপ্রদেশের ডিজিপির বক্তব্য, ইন্টারনেটে যে ভাবে পর্নোগ্রাফি পাওয়া যায়, তার জেরে শিশুদের মন বিকৃত হচ্ছে। তিনি বলেন, “ধর্ষণের ঘটনা ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়ার নেপথ্যে অনেক কারণ রয়েছে। আমার মতে, এর মধ্যে অন্যতম ইন্টারনেট, মোবাইল, পর্নোগ্রাফির সহজলভ্যতা এবং মদ।” ডিজি কৈলাসের কথায়, “সমাজের নৈতিক অবক্ষয়ের এমন অনেক কারণ রয়েছে। এটি (ধর্ষণ) আটকানো পুলিশের একার পক্ষে সম্ভব নয়।”

সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশে বেশ কয়েকটি ধর্ষণের অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। গত সোমবার মধ্যপ্রদেশের সাতনা জেলায় চার বছরের খুড়তুতো বোনকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক কিশোরের বিরুদ্ধে। চলতি মাসেই মধ্যপ্রদেশের রেওয়া জেলায় সরকারি হাসপাতাল থেকে এক নির্যাতিতা ‘নিখোঁজ’ হয়ে গিয়েছিলেন বলে খবর ছড়িয়েছিল। সাম্প্রতিক এই ঘটনাগুলির আবহে মধ্যপ্রদেশ পুলিশের ডিজিপির বক্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, শনিবার মধ্যপ্রদেশ পুলিশকে নিয়ে একটি পর্যালোচনা বৈঠকে বসেছিলেন তিনি। ওই বৈঠক শেষে বেরিয়েই এই মন্তব্য করেন ডিজিপি।

Advertisement

মধ্যপ্রদেশ পুলিশের ডিজির বক্তব্য, আগে ছোটরা শিক্ষকদের কথা, বাড়ির গুরুজনদের কথা শুনে চলত। কিন্তু এখন আর বাড়িতে কেউ একে অপরের দিকে নজর রাখতে পারে না বলেই দাবি পুলিশকর্তা কৈলাসের। তিনি বলেন, “এখন সব সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। ইন্টারনেটে যে ভাবে অশ্লীল বিষয়বস্তু দেখানো হচ্ছে, তা নিশ্চিত ভাবেই মনকে বিকৃত করছে। এই কারণেই এই ঘটনাগুলি ঘটছে।” বস্তুত, মধ্যপ্রদেশের বিধানসভায় গত অধিবেশনে সে রাজ্যের সরকার জানিয়েছিল, ২০২৪ সালে মধ্যপ্রদেশে প্রতিদিন ২০টি করে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। সে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের তথ্য অনুসারে পিটিআই জানিয়েছে, ২০২০ সালে মধ্যপ্রদেশে ৬১৩৪টি ধর্ষণের মামলা রুজু হয়েছিল। ২০২৪ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৭২৯৪। এই চার বছরে মধ্যপ্রদেশের সরকারি হিসাবে ধর্ষণের হার বৃদ্ধি পেয়েছে ১৯ শতাংশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement