সেশচলমের জঙ্গলে অন্ধ্র পুলিশের গুলিতে নিহত ২০ জনের নতুন করে ময়নাতদন্তের আর্জি সোমবার খারিজ করে দিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট।
পাশাপাশি সোমবারই জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কে জি বালকৃষ্ণন জানিয়েছেন, দু’জনের বিবৃতি রেকর্ড করা হবে। তাঁর দাবি, কাঠুরেদের যে দলটির ২০ জনকে অন্ধ্র পুলিশ গুলি করে মেরেছে এই দু’জন সেই দলেই ছিল। তাঁদের বিবৃতির উপরে ভিত্তি করেই পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করা হবে বলেও জানিয়েছেন বালকৃষ্ণন। মানবাধিকার কমিশন সূত্রের খবর, ওই দু’জন নিজে থেকেই কমিশনে এসেছিলেন। তাঁদের ডেকে পাঠানো হয়নি। ওই দু’জনকে কোনও নিরাপত্তা দেওয়া হবে কি না, সেটাও তাঁদের বিবৃতির উপরেই নির্ভর করছে বলেও জানিয়েছেন বালকৃষ্ণন।
চিত্তুর-কাণ্ড নিয়ে যখন সারা দেশ তোলপাড় তখন গত রবিবারই আরও ৬৩ জন তামিল কাঠুরেকে রাজ্যের নেল্লোর থেকে গ্রেফতার করেছে অন্ধ্র পুলিশ। নেল্লোর জেলার পুলিশ সুপারের দাবি, তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৪০টি রক্তচন্দন কাঠের গুঁড়ি। চোরাবাজারে ওই কাঠের দর অন্তত ২ কোটি টাকা। অন্ধ্র পুলিশের অভিযোগ, গত ৭ এপ্রিল চিত্তুরের সেশচলম জঙ্গলে চন্দন কাঠ পাচারকারীর যে দলটি অন্ধ্র টাস্ক ফোর্সের দলটিকে ঘিরে ধরেছিল, এরা তারই সদস্য। সে দিন টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা আত্মরক্ষা করতে গুলি চালালে শ’খানেক পাচারকারীর মধ্যে মৃত্যু হয়েছিল ২০ জনের। বাকিরা পালিয়ে গিয়েছিল। এত দিন ধরে সেই পলাতক পাচারকারীদের খোঁজে আশপাশের এলাকায় চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছিল অন্ধ্র পুলিশ। অবশেষে তাঁদের খোঁজ মিলেছে।