maharashtra

Maharashtra Crisis: ‘পতনের শুরু’, উদ্ধবকে নিশানা রাজের, বিজেপি শিবিরে এ বার আর এক ঠাকরে?

শিবসেনার প্রয়াত প্রতিষ্ঠাতা বালাসাহেব ঠাকরের নাম সামনে রেখে শিন্ডে শিবিরের রাজনৈতিক অস্তিত্বের লড়াইয়ে রাজ শামিল হতে পারেন বলে জল্পনা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০২২ ১৫:১৪
Share:

সেদিন তাঁরা পাশাপাশি, উদ্ধব এবং রাজ ঠাকরে। ফাইল চিত্র।

মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরে এ বার তুতো ভাই রাজ ঠাকরের নিশানা হলেন উদ্ধব। বৃহস্পতিবার টুইটারে উদ্ধবের নাম না করে মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা (এমএনএস)-র প্রধান রাজ লিখেছেন, ‘যখন কেউ সৌভাগ্যকে তাঁর ব্যক্তিগত কৃতিত্ব বলে মনে করে। এ বার এক জনের পতনের দিকে যাত্রা শুরু হল।’

Advertisement

একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহী শিবির বৃহস্পতিবারও জানিয়েছে, শিবসেনার প্রয়াত প্রতিষ্ঠাতা বালাসাহেব ঠাকরের নাম সামনে রেখেই রাজনৈতিক অস্তিত্বের লড়াইয়ে নামতে চলেছেন তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে রাজের টুইট নতুন জল্পনা তৈরি করেছে মহারাষ্ট্র রাজনীতিতে। বিজেপি এবং শিন্ডেগোষ্ঠীর জোটে রাজও যোগ দিতে পারেন বলে এমএনএসের একটি সূত্রে ইঙ্গিত মিলেছে।

নিজেদের ‘আসল শিবসেনা’ বলে দাবি করা শিন্ডে শিবিরের একাংশ মনে করছে, বালাসাহেবের রাজনৈতিক উত্তরাধিকার দাবির জন্য ‘ঠাকরে’ পদবির উপস্থিতি জরুরি। তাই তাঁরা চাইছেন রাজকে সঙ্গে পেতে। সম্প্রতি মহারাষ্ট্রে রাজনৈতিক টানাপড়েনের সময় একাধিক বার শিন্ডের সঙ্গে টেলিফোনে রাজের কথাও হয়েছে।

Advertisement

বালাসাহেবের জীবদ্দশাতেই ২০০৬ সালে তাঁর প্রিয় ভাইপো রাজ শিবসেনার সঙ্গ ছেড়ে নিজের দল মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা (এমএনএস) গড়েছিলেন। বালাসাহেবের নামে কোনও অভিযোগ না করলেও একাধিক বার উদ্ধবের ‘নেতৃত্বগুণ’ নিয়ে কটাক্ষ করেছেন তিনি।

২০০৯-এ মহারাষ্ট্রের বিধানসভা ভোটে ১৩টি আসনে জিতে চমকে দিয়েছিল রাজের দল। ২০১২-য় বৃহন্মুম্বই পুরসভার ভোটে এমএনএন জেতে ২৭টি ওয়ার্ডে। কিন্তু কট্টরপন্থী অবস্থান এবং হিংসাত্মক আন্দোলনের কারণে ক্রমশ মরাঠা রাজনীতিতে কোণঠাসা হয়ে পড়েন রাজ। সাম্প্রতিক সময়ে লাউডস্পিকার-বিতর্কে কট্টর হিন্দুত্ববাদী অবস্থান নিয়েছেন রাজ। তাঁর সঙ্গে বিজেপির সম্পর্কও এখন ভাল। সম্প্রতি বিধান পরিষদ নির্বাচনে রাজের দলের এক মাত্র বিধায়ক বিজেপি প্রার্থীকেই ভোট দিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন