জট কাটার আগেই সম্পর্ক আরও তিক্ত হল বিজেপি-শিবসেনার।
প্রায় ২৫ বছর আগে প্রমোদ মহাজনের উদ্যোগে বালসাহেব ঠাকরের সঙ্গে জোট সম্পর্কের ভিতই ছিল, মহারাষ্ট্রে শিবসেনা বিজেপির চেয়ে বেশি আসনে লড়বে। মুখ্যমন্ত্রীও হবে শিবসেনা থেকে। কিন্তু এ বারে নরেন্দ্র মোদীর জমানায় সেই অঙ্ক বদলে ফেলতে চাইছে বিজেপি। আর তাতেই বেঁকে বসছেন উদ্ধব ঠাকরে। একে তো তিনি বিধানসভা নির্বাচনের আগেই জোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে তুলে ধরতে চান নিজেকে। তার ওপর বিজেপিকে সমান বা বেশি আসন ছেড়ে দিতেও নারাজ।
কিন্তু অমিত শাহের ঘোর আপত্তি রয়েছে উদ্ধবের দাবি মানার ব্যাপারে। বিজেপি সভাপতির যুক্তি, অতীতে বেশি আসন দিয়েও বিজেপির থেকে বেশি আসনে জিততে পারেনি শিবসেনা। তা ছাড়া, এ বারের লোকসভাতেও বিজেপি বেশি আসন পেয়েছে। ফলে বিজেপির হক বেশি।
আসন বাঁটোয়ারা ও মুখ্যমন্ত্রীর পদপ্রার্থী হওয়া নিয়ে টানাপড়েনের মধ্যেই উদ্ধব সরাসরি মোদীকে আক্রমণ করায় শিবসেনার সঙ্গে যাবতীয় আলোচনা বন্ধ করার জন্য দলের নেতৃত্বকে চাপ দিয়ে যাচ্ছে রাজ্য বিজেপি। যদিও বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা পুরনো শরিককে হারাতে চাইছেন না।
মহারাষ্ট্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা রাজীবপ্রতাপ রুডি মুম্বইয়েই রয়েছেন। উদ্ধবও আগের থেকে সুর কিছুটা নরম করে বলেছেন, “আলোচনা চলছে। কিন্তু শিবসেনাও দর কষাকষির স্নায়ুযুদ্ধে পিছিয়ে থাকতে চাইছেন না।” তাই দলের মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত বলেছেন, “কোনও অবস্থাতেই শিবসেনা দেড়শোটির কম আসনে লড়বে না। এটা মহারাষ্ট্র। আর লোকসভায় মোদীকে মুখ করে যদি বিজেপি ভোটে লড়ে থাকে, তা হলে বিধানসভায় উদ্ধবকে মুখ করেই ভোটে যেতে হবে।”
গোপীনাথ মুন্ডের মৃত্যুর পর বিজেপির তেমন বড় মাপের কোনও জননেতাও এখন নেই মহারাষ্ট্রে। সে কারণে বিজেপি চাইছিল, ভোটের পরে যে দল বেশি আসন পাবে, তার ভিত্তিতে মুখ্যমন্ত্রী স্থির করা হোক। কিন্তু অনড় শিবসেনা।
বিজেপি নেতা মুখতার আব্বাস নকভি বলেন, “অনেক ঝড়-ঝাপটার মধ্যে দিয়েও এত দিন জোট অটুট রয়েছে। এ বারেও কোনও একটা পথ ঠিকই বেরোবে।”