Maharashtra-Karnataka Border Dispute

সীমানা ঘিরে সংঘাতে মহারাষ্ট্র-কর্নাটক! দুই বিজেপি নিয়ন্ত্রিত রাজ্যে উত্তেজনা

ঘটনাচক্রে, দুই রাজ্যেই ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। মহারাষ্ট্রে শিন্ডেসেনার সঙ্গে জোট বেঁধে। কর্নাটকে একক ভাবেই। কিন্তু সীমানা বিতর্ক ঘিরে বাগ্‌যুদ্ধে জড়িয়েছিলেন বিজেপির দুই নেতা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২২ ২৩:০৫
Share:

এ বার সীমানা সংঘাতে কর্নাটক এবং মহারাষ্ট্র। ছবি: সংগৃহীত।

উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অসম, মিজোরাম, মেঘালয়ের পরে এ বার সীমানা বিরোধ দক্ষিণ ও পশ্চিম ভারতের দুই রাজ্য মহারাষ্ট্র ও কর্নাটকের। ঘটনার জেরে মঙ্গলবার তুমুল উত্তেজনা ছড়াল মহারাষ্ট্র সীমানা লাগোয়া কর্নাটকের জেলা বেলগাভিতে।

Advertisement

মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী চন্দ্রকান্ত পাটিল এবং শম্ভুরাজ দেশাইয়ের প্রস্তাবিত সফরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে কয়েকটি কন্নড় সংগঠন জেলা সদরে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে। যা থেকেই উত্তেজনার সূত্রপাত। ঘটনার জেরে শিন্ডেসেনার মন্ত্রীদের সঙ্গীরা আক্রান্ত হন। ভাঙচুর করা হয় মহারাষ্ট্র থেকে আসা বহু যানবাহন। পাল্টা বিক্ষোভ হয় সীমানা লাগোয়া মহারাষ্ট্রের এলাকাতেও।

ঘটনাচক্রে, ২ রাজ্যেই ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। মহারাষ্ট্রে শিন্ডেসেনার সঙ্গে জোট বেঁধে। কর্নাটকে একক ভাবেই। কিন্তু সীমানা বিতর্ক ঘিরে বাগ্যুদ্ধে জড়িয়েছিলেন বিজেপির ২ নেতা। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই এবং মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস।

Advertisement

দুই রাজ্যের সীমানা সংঘাত আজকের নয়। কর্নাটক সীমানা লাগোয়া মহারাষ্ট্রের জেলা শোলাপুরে একটা বড় অংশে কন্নড়ভাষী বসবাস করেন। আবার ২০১২ সালে মহারাষ্ট্রের সাংলি জেলার কিছু পঞ্চায়েত কর্নাটকে যোগ দেওয়ার জন্য সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তাব পাশ করেছিল। একই ভাবে উত্তর মহারাষ্ট্রের বেলগাভির জনসংখ্যার বড় অংশই মরাঠি। ওই এলাকাকে দীর্ঘ দিন ধরেই ‘নিজেদের’ বলে দাবি করে এসেছে মহারাষ্ট্র।

সম্প্রতি কয়েক দশকের পুরনো এই বিতর্ক ফের মাথাচাড়া দেয়। ফড়ণবীসের একটি মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বোম্মাই সম্প্রতি বলেন, ‘‘কর্নাটকের গ্রামকে মহারাষ্ট্রে শামিল করার যে স্বপ্ন উনি (ফডণবীস) দেখছেন, তা কোনও দিন সফল হবে না।’’ এর পর ২ রাজ্যের সীমানাবর্তী মিশ্রভাষী জনসংখ্যার এলাকাগুলিতে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন