coronavirus

করোনায় দৈনিক মৃত্যু পেরতে পারে হাজারের গণ্ডি, সতর্ক করল মহারাষ্ট্র স্বাস্থ্য দফতর

আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়তে পারে অনেকটাই। হাসপাতালের শয্যার সংখ্যা কমে আসায় টান পড়তে পারে চিকিৎসা পরিকাঠামোয়, আশঙ্কা তেমনই।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০২১ ১২:৫৩
Share:

ফাইল ছবি

করোনার প্রকোপ আরও বাড়তে পারে মহারাষ্ট্রে। আগামী ২ সপ্তাহে দৈনিক মৃত্যু পৌঁছে যেতে পারে ১ হাজারে। আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়তে পারে অনেকটাই। হাসপাতালের শয্যার সংখ্যা কমে আসায় টান পড়তে পারে চিকিৎসা ব্যবস্থাতেও। মহারাষ্ট্রের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে এমনই উদ্বেগের কথা জানাল সে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর।

Advertisement

স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ২ সপ্তাহের মধ্যে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা আকাশছোঁয়া হতে পারে। পুণেতে আক্রান্তের সংখ্যা টপকে যেতে পারে ৬০ হাজারের গণ্ডি। তালিকায় তারপরেই থাকতে পারে নাগপুর (৫০ হাজারের কাছাকাছি) ও মুম্বই। একাধিক জেলায় পর্যাপ্ত চিকিৎসা ব্যবস্থা কমে আসতে পারে। সবচেয়ে খারাপ হাল হতে পারে নাগপুরে। আগামী ১১ দিনে মৃত্যু ছাড়িয়ে যেতে পারে ৬৪ হাজারের গণ্ডি। বর্তমানে সপ্তাহে ১ শতাংশ সংক্রমণ বৃদ্ধির হিসাব ধরেই এই সংখ্যা অনুমান করেছে স্বাস্থ্য দফতর।

মৃত্যুর হার ২.২৭ শতাংশের হিসাবে সে রাজ্যে করোনার মৃতের সংখ্যা ৬৪ হাজার ৬১৩ হতে পারে বলে জানিয়েছে দফতর। পাশাপাশি, মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছে যেতে পারে ২৮ লক্ষ ২৪ হাজার ৩৮২-তে। আর গড়ে দৈনিক মৃত্যু হতে পারে ১ হাজার জনের। বুধবার মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩১ হাজার ৮৫৫। করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে হিসাব করলে যা সর্বোচ্চ। মৃত্যু হয়েছে ৯৫ জনের।

Advertisement

স্বাস্থ্য দফতরের হিসাব অনুসারে, রোগীর সংখ্যার নিরিখে হাসপাতালে যথেষ্ট অক্সিজেন সহায়তাহীন শয্যা থাকলেও, পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে রাজ্য প্রায় ৪ হাজার অক্সিজেন সহায়ক শয্যা বৃদ্ধি করতে হবে। সবচেয়ে সমস্যার মুখে পড়তে পারে নাগপুর ও ঠাণে জেলা। সেখানে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ফুরিয়ে আসতে পারে আর কয়েকদিনেই। তাই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে অবিলম্বে হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি করা জরুরি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য সচিব প্রদীপ ব্যাস।

মহারাষ্ট্রের চিকিৎসকদের একাংশের দাবি, সরকারি তথ্য সঠিক নয়। শেষ তিন-চার দিনে রাজ্যে লক্ষাধিক মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। বর্তমানে আক্রান্তের ৪১ শতাংশ ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে যার মধ্যে ৮ শতাংশ আশঙ্কাজনক ও ০.৭১ শতাংশ রয়েছেন ভেন্টিলেটরে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন