Arrested After 24 Years

২০০১ সাল থেকে ফেরার! ২৪ বছর পর ধরা পড়ল পালঘর খুনে অভিযুক্ত, কানপুর থেকে গ্রেফতার

চলতি বছরের শুরুতে মামলাটিতে পুনরায় তদন্ত শুরু করে পুলিশ। শেষমেশ অভিযুক্তের ছেলে এবং অন্য পরিজনদের ফোন নম্বরগুলির সাহায্যে কানপুরের পাহাড়পুরে ‘মামু’র খোঁজ মেলে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০২৫ ১৯:২০
Share:

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

২৪ বছর ধরে গা-ঢাকা দিয়ে থাকার পর অবশেষে ধরা পড়লেন মহারাষ্ট্র্রের পালঘরে খুনে অভিযুক্ত। গত মাসে উত্তরপ্রদেশের কানপুর থেকে ধরা পড়েছেন ওই ব্যক্তি। রবিবার খবরটি নিশ্চিত করেছেন সে রাজ্যের শীর্ষ পুলিশকর্তারা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, ২০০১ সালে মহারাষ্ট্রের পালঘর জেলায় একটি খুনের মামলায় নাম জড়িয়েছিল বাবুন ওমপ্রকাশ শ্রীসাহুনি দিবাকরের। যদিও অপরাধ জগতে ‘মামু’ কিংবা ‘ছোটে’ নামেই বেশি পরিচিত ছিলেন তিনি। যদিও ওই ঘটনার পর থেকেই ফেরার হয়ে যান মামু। অনেক খুঁজেও তাঁর নাগাল পায়নি পুলিশ। শেষমেশ ২৪ বছর পর উত্তরপ্রদেশের কানপুর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার উত্তরপ্রদেশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) মদন বল্লাল বলেন, ‘‘অভিযুক্তের বয়স এখন ৫০ বছর। গত ২৭ এপ্রিল উত্তরপ্রদেশের কানপুর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’ যদিও এতে পুলিশের বিশেষ সাফল্য দেখছেন না এসিপি বল্লাল। বরং এটিকে পুলিশের জন্য গতানুগতিক ‘টেক্সটবুক মামলা’ বলেই অভিহিত করেছেন তিনি।

পুলিশ সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ২০০১ সালের ১৪ জানুয়ারী মহারাষ্ট্রের পালঘর জেলার ভিরার এলাকায় বকেয়া ভাড়া নিয়ে বিরোধের জেরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয় মহরম আলি মোহাম্মদ ইব্রাহিম আলি (৪৬) নামে এক ব্যক্তিকে। ওই ঘটনার তদন্তে নেমে জনৈক মুস্তাকিন আলি সৈয়দ এবং মামুকে অভিযুক্ত বলে চিহ্নিত করে ভিরার পুলিশ। দু’জনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা (খুন)-র অধীনে মামলাও দায়ের হয়। অপর অভিযুক্ত ধরা পড়লেও সেই থেকেই ফেরার ছিলেন মামু। শেষমেশ দীর্ঘ ২৪ বছর পর তাঁর নাগাল পেয়েছে পুলিশ। সে দিনের যুবক মামু এখন প্রৌঢ়।

Advertisement

এসিপি বল্লালের কথায়, ‘‘অভিযুক্ত ফেরার হয়ে যাওয়ার পর মামলাটি দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে স্থগিত ছিল। ২৪ বছর পর কাউকে খুঁজে বার করা সহজ কাজ নয়, কিন্তু আমরা কখনও হাল ছাড়িনি।’’ তিনি জানান, চলতি বছরের শুরুতে মামলাটিতে পুনরায় তদন্ত শুরু করে পুলিশ। শেষমেশ অভিযুক্তের ছেলে এবং অন্য পরিজনদের ফোন নম্বরগুলির সাহায্যে কানপুরের পাহাড়পুরে মামুর খোঁজ মেলে। পুলিশের একটি বিশেষ দলকে উত্তরপ্রদেশে পাঠানো হয়। বেশ কয়েক দিন ধরে নজরদারির পর কানপুর পুলিশের সহায়তায় হামিদপুর রোডের একটি পেট্রোল পাম্পের কাছে থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement