গ্রেফতারের পরে ভারভারা রাও। মঙ্গলবার হায়দরাবাদে। ছবি: পিটিআই।
যে সব সমাজকর্মী ও মানবাধিকার আন্দোলনের কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে ‘যথেষ্ট সাক্ষ্যপ্রমাণ’ রয়েছে বলে ফের জানিয়ে দিল মহারাষ্ট্র পুলিশ।
আজ মুম্বইয়ে এক সাংবাদিক বৈঠক করে মহারাষ্ট্র পুলিশের অতিরিক্ত ডিজি পরম বীর সিংহ বলেন, ‘‘গত জুনে এবং এই মাসে বিভিন্ন শহরে যাঁদের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে, আগেই তাঁদের সঙ্গে মাওবাদী যোগসূত্র পাওয়া গিয়েছিল। তল্লাশির পরে যা তথ্যপ্রমাণ আমরা পেয়েছি, তাতে এই যোগসূত্র আরও মজবুত হয়েছে।’’
এডিজি-র কথায়, ‘‘বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য এঁরা চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। রোনা জ্যাকব উইলসনের কম্পিউটার থেকে আমরা যে চিঠি পেয়েছি তাতে লেখা রয়েছে, ‘মোদী-রাজের অবসান ঘটাতে আমাদের বাস্তবসম্মত পদ্ধতি নিতে হবে। রাজীব গাঁধীর মতো ঘটনা ঘটানো যায় কি না, ভাবছি।’ সমাজকর্মী রোনাকে জুন মাসে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গত কাল হায়দরাবাদে নিজের বাড়ি ফিরেছেন তেলুগু অধ্যাপক-কবি ভারাভারা রাও। তিনি বলেন, ‘‘আমি প্রথম থেকেই বলে আসছি, আমার নামে মিথ্যে মামলা সাজানো হয়েছে।তবে বিচারব্যবস্থার উপর আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে।’’
আরও পড়ুন: ‘মোদীরাজ’ শেষ করার ষড়যন্ত্রে যুক্ত বিদ্বজ্জনরা, দাবি পুলিশের
গত কালই ভারাভারার জামাই, এফলু-র অধ্যাপক সত্যনারায়ণ অভিযোগ করেছিলেন, তাঁদের বাড়িতেও তল্লাশির সময়ে তাঁদের কী ভাবে হেনস্থা করেছিল পুলিশ। সত্যনারায়ণের কথায়, ‘‘অদ্ভুত সব প্রশ্ন করা হচ্ছিল আমাদের। বাড়িতে এত বই কেন, এত বই আমরা পড়ি কি না, চিন থেকে প্রকাশিত বই রয়েছে কেন, বাড়িতে অম্বেডকরের ছবি রয়েছে, কিন্তু ভগবানের কোনও ছবি নেই কেন— এ রকম হাজারো প্রশ্ন করা হচ্ছিল আমাদের। পুলিশি হেনস্থার বিরুদ্ধে আমি শীর্ষ আদালতে মামলা করব।’’
জুন মাসে গ্রেফতার হওয়া আইনজীবী সুরেন্দ্র গ্যাডলিংয়ের স্ত্রী মিনালও আজ সুপ্রিম কোর্টে এক আবেদন করে জানিয়েছেন, তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের ভুয়ো মামলা সাজানো হয়েছে।