ছুটিতে পাহাড়ে, মালভূমিতে

পাহাড়-মালভূমির মাঝে সেই ফুলের জলসাঘরের চাবিকাঠিটি এই মুহূর্তে আমার হাতের মুঠোয়। মহারাষ্ট্রে সাতারা জেলার সহ্যাদ্রী পাহাড়ের ভৌগোলিক পথ সাঁতরে পৌঁছতে চাইছি ফুলরঙা ওই পাহাড়ি মালভূমিতে। দূরদূরান্ত থেকে ভেসে আসছে প্রকৃতি ডোবানো সংলাপ। ঘুরে এসে লিখছেন মধুছন্দা মিত্র ঘোষ।কাশ মালভূম। মহারাষ্ট্রের স্থানীয় ভাষায় ‘কাশ পাথার’। রিমঝিম বর্ষা মরসুম যাব কি যাব না করছে যখন, সেই নির্ভেজাল সন্ধিক্ষণেই শুরু হয়ে যায় ফুলের হোরিখেলা। অপরূপ সে দৃশ্যাবলি।

Advertisement
শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০১৬ ০১:২৬
Share:

কাশ মালভূম। মহারাষ্ট্রের স্থানীয় ভাষায় ‘কাশ পাথার’। রিমঝিম বর্ষা মরসুম যাব কি যাব না করছে যখন, সেই নির্ভেজাল সন্ধিক্ষণেই শুরু হয়ে যায় ফুলের হোরিখেলা। অপরূপ সে দৃশ্যাবলি। মহারাষ্ট্রের সাতারা জেলাশহর থেকে মাত্র ২৫ কিমি পাহাড়ি পথের চড়াই ডিঙিয়েই সহ্যাদ্রির পাহাড়ি ধাপে ১২০০ মিটার উচ্চতায় ১০ বর্গকিমি জুড়ে প্রসারিত এক মরসুমি ফুলের উপত্যকা—কাশ প্ল্যাটু। এখানে নির্ধারিত আড়াই মাস ধরে অষ্টপ্রহর লেগে থাকে বাহারি ফুলের দাঙ্গা। পর্যটক মহলে এই মালভূমির আহ্লাদী নাম ‘দ্য ভ্যালি অব ফ্লাওয়ার্স’—ফুলের উপত্যকা।

Advertisement

আলোর জেল্লা, ভিড়ভাট্টা। শারদোৎসবের সময়টা তাই শহরে থাকি না। উড়ু উড়ু মনপবনের নাও-এ ভেসে চলে যাই পর্যটনে। মন জুড়ে তখন কেবল ছুটির আমেজ। ছুটি যে নতুন করে মনকে গভীরতা দেবেই, তার নির্দেশও যেন ছিল সাংসারিক গতানুগতিকতাতে। এবার মহাসপ্তমীর এক্কেবারে ভোররাতে আমার নভি মুম্বইয়ের আস্তানা থেকে যখন গাড়িতে সওয়ার হলাম, ঘড়িতে তখন চারটে পঁয়ত্রিশ। ঘুরঘুট্টে রাত তখনও। এই পশ্চিম মুলুকে অর্কদেবের ঘুম ভাঙতে এখনও ঢের দেরি। যতই হোক, আমাদের মন হল উৎসবপ্রিয় বাঙালি মন। সে আলোকোজ্জ্বল দিনগুলিতে কলকাতাই বলো, কী মুম্বই-ই বলো, মহানগরের হুজুগে ভিড়ভাট্টায় থাকি বা না থাকি। তবে যাওয়ার পথে দু’তিনটি আপাত-ফাঁকা পুজোমণ্ডপে ঢুঁ মারার সাধকে সামলানো গেল না। এই সপ্তমীর ভোর হওয়ার প্রারম্ভ অন্ধকারেই পুজো পরিক্রমায় নিজস্ব বাহন ও পরিবার-সহ সামান্য দূরের বৃহন্মুবই, থানের কিছু বাঙালি দর্শকের নভি মুম্বইয়ের পুজোমণ্ডপগুলোতে আনাগোনা চলছে। তবে এই ভোররাতে ভক্ত কিছুটা কম দেখে পুজোমণ্ডপে মাতৃমূর্তি দর্শনে ভিড়ে গেলাম। ভোরের পিঠোপিঠি কখন যেন একফালি শিশির চুঁইয়ে পড়ছে। ভোর উচ্চারিত হচ্ছে ক্রমশ। মুম্বই থেকে কাশ মালভূমের দূরত্ব ২৭৮.৮ কিমি। সময় লাগে মোটামুটি ঘণ্টাপাঁচেক। আমাদের নভি মুম্বইয়ের চেনা চৌহদ্দি পাম বিচ রোড-বেলাপুর-খারগড়-পানভেল পেরিয়ে গাড়ি মুম্বই-পুণে এক্সপ্রেসওয়ে অর্থাৎ জাতীয় সড়ক-৪ ছুঁলো। এই পথে তালেগাঁও টোল নাকা ফুডমল-এ খেয়ে নিলাম প্রাতরাশ। পোহা, মেদু বড়া, উত্তপম, ইডলি-সম্বর—সব ক’টি খাবার মিলিয়ে মিশিয়ে অর্ডার দেওয়া হল। সঙ্গে ফিল্টার কফিও।

মনে পড়ে গেল, গত বছর হোলির সময় মহারাষ্ট্রের ‘হ্রদশহর’ লাভাসা যাওয়ার পথেও এই ধাবাতেই প্রাতরাশ করেছিলাম। পুণে-বেঙ্গালুরু হাইওয়ে অর্থাৎ জাতীয় সড়ক-৪৮ ধরে আরও অনেকটা পথ গেলে মহারাষ্ট্রের অন্যতম প্রাচীন জেলাশহর সাতারা। এই শহরের শিবাজী সার্কেল থেকে তৃতীয় প্রস্থানপথ ভবানী পের্থ রাজপথ। সে পথে খানিক এগোতেই আদালতওয়াড়া রোড বা জিএম ভোঁসলে রোড। এই পথ ডানদিকে ঘুরেই নাম নিয়েছে কাশ রোড। সাতারা-কাশ রোডের সম্বরওয়াড়ি গাঁয়ের জেবতেশ্বর মন্দিরের কাছেই নিভান্ত হিল রিসর্ট-এ আমাদের জন্য রাখা আছে একদিনের অবসর যাপনের ঠাঁই। এতক্ষণ এই পুরো পথেরই হদিশ সামলাচ্ছে মুঠোয় ভরা স্মার্ট ফোনের জিপিএস-এর বেটা ভার্সন। নতুন কোনও জায়গায় বেড়াতে এসে হোটেলের ঘরে শুয়েবসে আলস্যি করা আমার ধাতে নেই। সে যতই শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ও বিলাসবহুল হোটেলই হোক না কেন। অল্প সময়টুকুকে পুরোদস্তুর কাজে লাগিয়ে যতটা সম্ভব ঘুরে-ফিরে-বেড়িয়ে ভ্রমণের ঝুলি ভরে নেওয়ার প্রয়াস থাকেই। সময় নষ্ট করার কোনও মানেই হয় না। দুপুরের খাওয়ার সময়ের ঢের আগেই আহার সেরে নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম কাশ অধিত্যকার ফুলের বাগিচা দেখার অভিলাষে। একতলার ছাত-খোলা প্রশস্ত লবিতে খেতে বসে দু’চোখের প্রসারিত দৃষ্টির নেপথ্যে সাতারা পাহাড়তলির অসামান্য দুপুর-দৃশ্য। দিগন্তে আবছা এক সবুজ আভা। দূরদূরান্ত থেকে ভেসে আসছে পাতানড়ার অদ্ভুত শব্দ। দূরের সেই ভাষা পৌঁছেও যাচ্ছে এই স্তব্ধতায়।

Advertisement

শরৎ ও হেমন্ত মিশেছে পথের দু’পাশের রৌদ্র-ছায়ায়। পথ জুড়ে কেবলই নরম সবুজ রং। সবুজেরও যে কত রং। আমাদের হোটেল থেকে কাশ ফুলের বাগিচা প্রায় ১৮ কিমি। পুরো পথে অনেকগুলি হোটেল রয়েছে—হোটেল শ্রেয়স, ঋতুগান্ধার হোটেল, জলসা হোটেল, হোটেল বন্ধুপ্রেম, হোটেল বাকুলা, হোটেল ল্যান্ডমার্ক, প্রকৃতি হিল রিসর্ট, পরশ হোটেল, ও আরও কিছু অস্থায়ী হোম স্টে। বর্ষাশেষের মরসুমে মধ্য-অগস্ট থেকে মধ্য-অক্টোবরের সময়কাল পর্যন্ত কাশ ফুলের উপত্যকা থাকে তার নিজস্ব ভরপুর মেজাজে। তার পর পরই ঝরে যায় সব ফুল। পর্যটকরাও তখন এ তল্লাটে আসা বন্ধ করে দেন।

চেনা ছবি। দীর্ঘ পথ ও দিগন্ত জুড়ে বর্ষার শুশ্রূষায় আদিম হরিয়ালিও নিয়মমাফিক হাজির। শুধু তাই নয়, যাওয়া-আসার পথে দেখা হল পাহাড় ও নীল হ্রদের কাব্যিক ষড়যন্ত্র। ডানে ও বাঁয়ে ঘন নীলের চৌচির জলাধার। সে হ্রদসমূহের জলে কত নীল, তার কত রকম শরীর! কোনওটি কোয়েনা নদীর অতিরিক্ত উপচে পড়া জলে সৃষ্ট, কোনওটি শতাধিক প্রাচীন কাশ হ্রদ। খানিক দূরে টাপোলা হ্রদের নীল নির্জন। হাওয়ায় দোল খাচ্ছে নীলের তরঙ্গ বৈভব। অপাঙ্গে চেয়ে থাকি, প্রতিটি হ্রদের নাব্য কথামালার নেপথ্যে।

একটা জলভরা ধূসর মেঘ খানিকক্ষণ থমকে ছিল কাশ পাথারের আকাশে। আমরা কাশ পাথার পৌঁছনো মাত্রই বেআক্কেলের মতো বৃষ্টির টুপটাপ ঝরে পড়া শুরু হয়ে গেল। এই মেঘপাহাড়ের মুলুকে এই-ই হয়। কখনও ঝলমলে রোদ্দুর তো পরক্ষণেই অবুঝ অঝোর বৃষ্টি।

একে তো রবিবারের দুপুর, তার ওপর নবরাত্রির ছুটি চলছে। কাশ পাথারে আজ লোকে লোকারণ্য। ‘কাশ পাথার জয়েন্ট ফরেস্ট ম্যানেজমেন্ট কমিটি’র প্রস্তাবিত রবিবার ও সরকারি ছুটির দিনের জন্য ফুলবাগিচায় প্রবেশমূল্য জনপ্রতি ১০০ টাকা। সপ্তাহের বাকি দিনগুলির জন্য ৫০ টাকা জনপ্রতি। তবে বরিষ্ঠ নাগরিকদের জন্য এই ফুলবাগিচায় ভ্রমণ সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। ‘কাশ পাথার ম্যানেজমেন্ট কমিটি’র স্বেচ্ছাসেবকরা একাধারে প্রতিটি গাড়ির সামনে এসে স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রের সাহায্যে প্রবেশমূল্য নিচ্ছেন ও রসিদ দিচ্ছেন। গাড়ি পার্কিং সামলাচ্ছেন, সঙ্গে সামলাচ্ছেন অগণিত দর্শকের ভিড়ও। তার মধ্যে বৃষ্টির এই হালকা ছাঁট। সঙ্গে ছাতা এনেছিলাম ভাগ্যিস! লাল মাটির অত্যন্ত পিচ্ছিল পথ। ক্যামেরা, ছাতা, কাঁধের ব্যাগ নিয়ে নাকাল হয়ে বৃষ্টিভেজা পিচ্ছিল পথ বেয়ে পা টিপে টিপে হাঁটতে থাকি।

কত রকমারি প্রজাতির ফুলে ফুলে ছয়লাপ কাশ পাথারের অঙ্গন। মাত্র তিন থেকে পাঁচ সপ্তাহ পর্যন্ত এই সব ফুলের স্থায়িত্ব। প্রায় ৮৫০-এরও বেশি প্রজাতির ফুল রয়েছে এই চত্বরে। উদ্ভিদবিদ্যায় ফুলেদের নানা রকমারি নামও আছে। যেগুলির স্থানীয় নাম হল—কুমুদিনী, কান্তিলপুষ্প, মোথা সোনাকি, অভালি, মুশালি, ভাতুরা, ভারাঙ্গি, গুলাবি তেরাদা, হালুন্দা, উনড্রে, সুইচি ভাজি, কোন্তাল, কাটে রিঙ্গনি, কওলা, নিমুরদি, কালি নিমুরদি, সোমাদা, কাশা, ছাভর, পানধারা সাপকান্দা, আবেলিমা ইত্যাদি। পুষ্পকাননের অনুমোদিত গাইডের ধারাবিবরণী অনুযায়ী হাতের ছোট্ট নোটবইয়ে যতটা পারি লিখে নিচ্ছি ফুলের স্থানীয় নামের তালিকা।

যদিও মূল পুষ্পকাননটি লোহার তারের বেড়া দিয়ে সুরক্ষিত রাখা আছে, তবে সেই বেড়াজালের বাইরেও ‘কুসুমে কুসুমে চরণচিহ্ন’ লেগে আছে। এছাড়াও কিছু কিছু অংশে টানা তৃণভূমি। আর যেখানেই ফুলের সুবাস সেখানেই বহুসংখ্যক প্রজাপতির যথেচ্ছ ওড়াউড়ি। কত রকম প্রজাতির প্রজাপতি ও তাদের রকমারি রূপ ও রঙের বৈচিত্র। কতটুকু ধরতে পারে ক্যামেরার লেন্স? কাশের এই রঙিন বৈচিত্রময় ফুলের হোরিখেলা মূলত নির্ভর করে ভেজা জলবায়ু, জোলো ঠান্ডা মরসুম, মাটি এবং অত্যধিক গরম ও ঠান্ডা আবহাওয়ার মাঝামাঝি ঋতুবৈচিত্রের ওপর। মধ্য অগস্ট থেকে পুরো সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ অবধি থাকে কাশ পাথারের ফুলের রৌণক। সাধে কি আর ২০১২ সালে ‘ওয়ার্ল্ড ন্যাচারাল ‘হেরিটেজ সাইটের’ আয়ত্তাধীন কাশ অধিত্যকাকে ইউনেসকো কর্তৃপক্ষ ‘ভ্যালি অব ফ্লাওয়ার্স’-এর তকমা দিয়েছে।

অনেকটা সময় জুড়ে এখানে বিকেল। দৃশ্যবদল হচ্ছে। বেলাশেষে রোদ্দুরের প্রলম্বিত ছায়ারাও রং বদলাচ্ছে। ফেরার পথে দু’ পাড়ের কয়েকটি নয়নাভিরাম ভিউ পয়েন্টে গাড়ি থামিয়ে নেমে পড়ি। বেশির ভাগ পর্যটকই অবশ্য তাই করছেন। প্রকৃতিবীক্ষণ স্থানগুলি থেকে সুরম্য প্রকৃতিদেবীকে ক্যামেরায় ধরে রাখার অদম্য আগ্রহে। এই মুহূর্তে বৃষ্টি নেই এই পাশে। শুকনো পথপ্রান্তর। মেঘ-রোদ্দুরে মায়াবী বিকেল জুড়ে এখন অনন্ত সবুজের কারিকুরি। অতি অদ্ভুত ভাবে সবজে পাহাড়ের মাথাগুলো যেন কেউ মাখনের বুকে ধারালো ছুরি চালানোর মতোই কেটে নিয়েছে। অর্থাৎ পাহাড়-পর্বত বলতে আমাদের সাধারণ মনে, যে উত্তুঙ্গ শিখরের ছবিটা ভেসে ওঠে, এখানে একেবারেই তা নয়। কাশ তথা সাতারার এই অঞ্চলের বেশির ভাগ পাহাড়চূড়ার মাথা প্রকৃতি দেবী কেমন নিপুণ ভাবে পরিপাটি সমতল করে রেখে দিয়েছেন। ভারি অন্য রকম সেই সব সবজে পাহাড়ের অচেনা অবয়ব-দৃশ্য।

মায়াবী বিকেলে ক্ষণিকের জন্য দেখা হল, আকাশ-জোড়া সাতরঙা এক রামধনুর সঙ্গে। কোয়েনার বিস্তৃত জলাধারের ঠিক ওপরের আকাশটায় তার অনায়াস প্রতিফলন। ক্যামেরায় টুকে রাখার মতো সে দৃশ্য। বিকেল বেলা কনে দেখা আলোর সঙ্গে আকাশের ওই রামধনুর আভিজাত্য—ভ্রমণ মজলিসে তখন পরমা প্রকৃতির কাছে নতুন করে আর কীই বা চাইবার থাকতে পারে?

না-ফুরোনো পথ ডিঙিয়ে কাশ-এর অরক্ষিত গোপনে এক পা এক পা করে ঢুকে যাচ্ছি। কাল এ পথে আসা হয়নি। এখন ফেরার সময়। মন ভরে কিছু ছবি তুলে রাখলাম ক্যামেরা ও মোবাইলে। মোবাইলে তোলা ছবিগুলো একই সঙ্গে চালান করে দেব ফেসবুক ও হ্যোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে। তবে এখানে নেট সংযোগের সিগনাল নেই। পথটা খানিক নেমে ডাইনে রয়েছে শতাব্দী-প্রাচীন কাশ জলাধার। নৌকাবিহারের ব্যবস্থাও আছে। আমি কেবল আলগোছে পা ভিজোলাম কাশহ্রদের জলে।

পাহাড় মাথা নত করে দেয়। নম্র হতে শেখায়। পাহাড়ে যখন চকমকি রোদ্দুর ওঠে, অন্য পারে তখন ঝমঝম বৃষ্টি। মনে পড়ে সফরের নামতা। সবুজ ঘ্রাণ, আর তাতে বৃষ্টি পড়ছে। কাশ পাথারের কাছে এভাবেই কিছু স্বাক্ষর ফেলে রাখি। ফেরারি পথিক হয়ে ঘুরে বেড়াই পান্থশালার আশ্রয়ে আশ্রয়ে। নতুন গল্প নেই কোনও। হারাতে চেয়েছি ফুলের জলসাঘরে। বিলকুল। ফুল্লকুসুমিত কাশ পাথারে...

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন