ফাইল চিত্র।
এ যেন ঠিক তীরে এসে তরী ডোবানোর কৌশল।
নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে জোটের সলতে পাকানোর কাজটা দিল্লিতে এসে সেরে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার মোদী সরকারকে প্যাঁচে ফেলতে জিএসটি-কে হাতিয়ার করল তৃণমূল কংগ্রেস।
কেন্দ্র জুলাই মাস থেকে দেশ জুড়ে পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) চালু করার সিদ্ধান্ত নিলেও শেষ মুহূর্তে বেঁকে বসলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিকে চিঠি লিখে জানিয়ে দিয়েছেন, রাজ্যে জিএসটি চালুর প্রস্তুতি এখনও সম্পূর্ণ নয়। ছোট ব্যবসায়ীদের সমস্যা সবচেয়ে বেশি। ফলে জিএসটি বিল পাস করানোর জন্য শুক্রবার বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন ডাকা হলেও তা থেকে পিছিয়ে এসেছে নবান্ন। কাশ্মীরে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকেও অর্থমন্ত্রীকে যেতে দেননি মুখ্যমন্ত্রী। তবে বৈঠক বয়কট না করে দু’জন জুনিয়র অফিসারকে পাঠানো হয়েছে।
একে খোলাখুলি রাজনৈতিক প্যাঁচ হিসেবেই দেখছে বিজেপি। দলের নেতারা বলছেন, সারদা-নারদ তদন্তে চাপে পড়েই জোট আর জট পাকানোর পথে হাঁটছেন মমতা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের কথায়, ‘‘মোদীর বিরুদ্ধে যাঁরা জোট পাকাচ্ছেন, তাঁদের অধিকাংশের বিরুদ্ধেই মামলা ঝুলছে। দুর্নীতির তদন্তের মুখে বিরোধীরা একে অপরকে আঁকড়ে ধরছেন।’’
আরও পড়ুন:রাজ্যসভায় কংগ্রেসকে চাপ মমতার
তৃণমূলের পাল্টা দাবি, কেন্দ্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই সিবিআই, ইডি, আয়কর দফতরকে কাজে লাগাচ্ছে। কিন্তু তার সঙ্গে জিএসটি বিরোধিতার সম্পর্ক নেই। এটা করা হচ্ছে রাজ্যের ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের কথা ভেবেই।
বিজেপির বক্তব্য, জিএসটি নিয়ে তৃণমূলের প্যাঁচ কষা নতুন নয়। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রেফতারের ঠিক পরেই, জানুয়ারিতে জিএসটি নিয়ে জেটলির ডাকা বৈঠক থেকে ওয়াকআউট করেছিলেন অমিত মিত্র। কিন্তু তৃণমূল সূত্রের দাবি, জিএসটি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ বরাবর নীতিগত বিরোধিতাই করে এসেছে। রাজ্যর হাতে কতখানি অডিটের ক্ষমতা থাকবে, সে ব্যাপারে কেন্দ্রের প্রস্তাবে সব রাজ্য রাজি হলেও পশ্চিমবঙ্গই বিরোধিতা করেছে।