বন্ধুর জন্য ধারালো দেখে ‘দা’ পছন্দ করে দিয়েছিলেন নন্দ জানা। সেই দা নিয়ে মেলা প্রাঙ্গণ থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন তিন বন্ধু। নন্দ, বিমল দাস আর পরিতোষ দেব। তখনও কি আর ৩২ বছরের নন্দ জানতেন, দা-টি কেনা হয়েছে তাঁকে মারার জন্যই!
আজ সকালে শিলচরের ইন্ডিয়া ক্লাবের মাঠে মৃতদেহ উদ্ধারের পর কেউ প্রথমে চিনতে পারছিলেন না। স্ত্রী পিঙ্কি গিয়ে স্বামীর মৃতদেহ শনাক্ত করেন। পুলিশ তদন্তে নেমে গত কাল সন্ধ্যায় তিন বন্ধুর এক সঙ্গে গাঁধী মেলায় ঘোরাঘুরির ব্যাপারে নিশ্চিত হয়। নন্দ, বিমল পুরসভার অস্থায়ী সাফাই কর্মী। পরিতোষও পুরকর্মী। বিমল ও পরিতোষ জেরায় খুনের দায় স্বীকার করে বলে পুলিশের দাবি।
কিছু দিন আগে বিমলের দাদাকে মারধর করে নন্দ। পাড়ার সালিশিতে তা মিটমাট হয়ে গেলেও বিমল মন থেকে মেনে নিতে পারেনি। খুনের ছক করেই নন্দের সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখে সে। পরিতোষকে সব জানিয়ে তাকেও সামিল করে। কাল নন্দকে নিয়ে শিলচরের গাঁধীমেলায় যায়। নন্দকেই একটি ধারালো দেখে দা পছন্দ করতে বলে বিমল। মেলা থেকে বেরিয়ে তিন জনে ফাঁকা মাঠে মদ্যপান করে। পরিতোষ জানায়, সে-ই প্রথমে গাড়ির রেঞ্চ দিয়ে নন্দর মাথায় মারে। পরে বিমল নতুন কেনা দা’ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। পরপর কোপ বসায় শ্বাসনালিতে। ধৃতদের সঙ্গে নিয়ে পুলিশ উদ্ধার করেছে সেই দা’টিও।