এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
স্কুলে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দিনের পর দিন যৌন হেনস্থার শিকার! আত্মঘাতী হয়ে অসমে মৃত্যু নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর। অসম পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাই়ড নোটও মিলেছে। তাতে স্কুলের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ করেছে ওই ছাত্রী। পরে পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অসমের তিনসুকিয়া জেলার ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, বছর চোদ্দোর ছাত্রী গত জুন মাসে এক বার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল। তার পরেই পরিবারের তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। বলা হয়, চলতি বছরের মে মাসে প্রথম বার ছাত্রীকে যৌন হেনস্থা করেন স্কুলের এক শিক্ষক। স্কুলের রান্নাঘরে ঠান্ডা পানীয়ের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে ওই ছাত্রীকে খাওয়ানো হয়েছিল। বাকিরা ছাত্রীরা বেরিয়ে যাওয়ার পরে সেই রান্নাঘরে কিশোরীকে যৌন হেনস্থা করেন ওই শিক্ষক।
ওই ঘটনার পরে ৩ জুন আত্মহত্যার চেষ্টা করে ওই স্কুলছাত্রী। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসকদের তৎপরতায় সে বার রক্ষা পায় ওই ছাত্রী। এর পরেই পরিবার পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে। তার ভিত্তিতে অভিযুক্ত চিকিৎসককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পকসো ধারায় মামলা রুজু হয়। এর পর গত ৬ জুলাই আত্মহত্যা করে ওই কিশোরী। পরিবারের তরফে আরও একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এ বারের অভিযোগে স্কুলের আরও কয়েক জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, যে সুইসাইড নোটটি মিলেছে, তাতে অভিযোগ, স্কুলের তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযুক্তকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে অসমে। দোষীদের শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন বহু মানুষ।