Man held for poisoning tiger

গরু মারার শাস্তি, বিষ প্রয়োগ করে বাঘ মারার অভিযোগে তামিলনাড়ুর নীলগিরি থেকে ধৃত এক

তাঁর একটি গরুকে মেরে ফেলেছিল বাঘ। প্রতিশোধ নিতে মৃত গরুর শরীরে বিষ মাখিয়ে দেন। সেই গরুকে আবার খেতে আসে একটি বাঘ। বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয় বাঘটির।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

চেন্নাই শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৯:২৮
Share:

— প্রতীকী ছবি।

বিষ প্রয়োগ করে বাঘ মারার অভিযোগে সোমবার রাতে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে তামিলনাড়ুর নীলগিরি থেকে। অভিযোগ, তাঁর গরুকে মেরেছিল একটি বাঘ। সেই বাঘকে শিক্ষা দিতে মৃত গরুর শরীরে বিষ মাখিয়ে এসেছিলেন ওই সেকর নামে ব্যক্তি। বাঘ ফিরে এসে আবার মৃত গরুর শরীরে মুখ দিতেই বিষের কারণে তার মৃত্যু হয়।

Advertisement

বন দফতর সূত্রে খবর, গত শনিবার নীলগিরির এমারাল্ডে দু’টি বাঘের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃত বাঘ দু’টির বয়স ছিল যথাক্রমে তিন এবং আট। কী কারণে মৃত্যু, তা জানতে তদন্ত শুরু করে বন দফতর। দু’টি বাঘের মৃতদেহ এবং গরুর মৃতদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয় গবেষণাগারে। দেখা যায়, গরু এবং আট বছরের বাঘের শরীরে বিষের উপস্থিতি রয়েছে। কিন্তু তিন বছরের বাঘটির শরীরে ক্ষতের অজস্র চিহ্ন, তবে শরীরে বিষের উপস্থিতি মেলেনি।

এর পরেই এমারাল্ডে গিয়ে স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়। জানা যায়, সেকর নামে এক গ্রামবাসীর গরু দিন দশেক আগে হারিয়ে যায়। গরুর সন্ধানে তন্ন তন্ন করে খোঁজাখুঁজি করেন সেকর। শেষ পর্যন্ত বনের মধ্যে গরুর নিথর দেহ দেখতে পান তিনি। শরীরে ছিল ক্ষতের চিহ্ন। সেকর বুঝতে পারেন, কোনও মাংসাশীর আক্রমণে মৃত্যু হয়েছে তাঁর গরুর। প্রতিশোধ নিতে মৃত গরুটির শরীরে কীটনাশক মাখিয়ে দিয়ে আসেন সেকর। তিনি জানতেন, গরুর রক্তের গন্ধে আবার মাংসাশী আসবে খেতে। বন দফতরের কর্মীদের অনুমান, সেই গন্ধ পেয়েই প্রথমে একটি তিন বছরের বাঘ গরুটির কাছে আসে। কিন্তু গরুর কাছাকাছি পৌঁছনোর আগেই আট বছর বয়স্ক একটি বাঘ তার উপর আক্রমণ করে। দু’জনের যুদ্ধ মৃত্যু হয় তিন বছরের বাঘটির। শত্রু নিকেশের পর আট বছরের বাঘটি মৃত গরুর কাছে গিয়ে খাওয়া শুরু করে। কিন্তু বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয় তার।

Advertisement

স্থানীয় গ্রামবাসীদের বয়ান জানার পর বন দফতরের কর্মীরা সেকরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জেরার মুখে ভেঙে পড়ে সেকর কবুল করেন গোটা ঘটনা। জানান, গরুর শোকেই তিনি এই কাণ্ড করেছেন। তার পরেই বাঘ হত্যার দায়ে পুলিশ গ্রেফতার করে সেকরকে। আদালতে তোলা হলে তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন