Man posing as Police Officer rapes woman

পুলিশ অফিসার পরিচয় দিয়ে তরুণীকে বার বার ‘ধর্ষণ’, কর্নাটকে পুলিশের জালে পথনাটক শিল্পী

পুলিশ পরিচয়ে প্রেমের জাল বিছিয়ে কমবয়সি মেয়েদের সঙ্গে প্রতারণা করতেন অভিযুক্ত। এক তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে। জানা গিয়েছে, ধৃত পথনাটক শিল্পী।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

ম্যাঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০২৩ ১৫:১৪
Share:

— প্রতীকী ছবি।

নিজেকে পুলিশ আধিকারিক বলে পরিচয় দিয়ে সমাজমাধ্যমে এক তরুণীর সঙ্গে বন্ধুত্ব করেছিলেন। তার পর কাজ দেওয়ার নাম করে একাধিক বার তরুণীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ। বৃহস্পতিবার তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে কর্নাটকের পুলিশ রাইচূড় থেকে ভুয়ো পুলিশ আধিকারিককে গ্রেফতার করে। জানা যায়, পুলিশ আধিকারিক বলে পরিচয় দেওয়া ব্যক্তি আসলে পথনাটকে অভিনয় করেন। নাটকে ব্যবহৃত পুলিশের খাকি পোশাক পরেই ঘুরে বেড়াতেন তিনি।

Advertisement

গত ৮ অগস্ট মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ১৯ বছরের ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া তরুণী। তাঁর দাবি ছিল, বেশ কিছু দিন আগে ইনস্টাগ্রামে তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয় ইয়ামানুর নামে এক ব্যক্তির। ইয়ামানুর নিজেকে পুলিশ অফিসার বলে পরিচয় দেন। তিনি তরুণীর পরিবারের কাউকে চাকরি পাইয়ে দেবেন বলে কথা দেন। সে জন্য তরুণীর কাছ থেকে সমস্ত নথিও চেয়ে নেন। দু’জনের সুসম্পর্কের সেই শুরু।

সেই সম্পর্কের সূত্রেই দু’জনে এ দিক ও দিক ঘুরতেও যেতেন। গত মে মাসে তরুণীকে নিয়ে ইয়ামানুর তান্নিরভাবি সমুদ্রতটে বেড়াতে যান। সেখানে দু’জনে বেশ কয়েকটি ঘনিষ্ঠ ছবি তোলেন। তা রাখা ছিল ইয়ামানুর মোবাইল ফোনেই। তার পরেই শুরু আসল খেলা। তরুণীর অভিযোগ, এর পরে ঘনিষ্ঠ ছবি ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দিতে শুরু করেন ইয়ামানুর। নিজের সম্মানরক্ষার্থে ইয়ামানুর কথায় রাজি হন তরুণী। তরুণীকে নিয়ে বেঙ্গালুরুর একটি অতিথিশালায় গিয়ে ইয়ামানুর তাঁকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। সেই ছবিও কোনও ভাবে নিজের মোবাইলে তুলে রেখেছিলেন ইয়ামানুর। তার পর তিনি তরুণীর কাছে দেড় লক্ষ টাকা দাবি করেন। জানান, টাকা না পেলে ছবি ভাইরাল করে দেবেন সমাজমাধ্যমে।

Advertisement

এতে ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে তরুণীর। গত ৮ অগস্ট ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পড়ুয়া তরুণী ম্যাঙ্গালুরুর একটি মহিলা থানায় গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ তদন্তে নেমে ইয়ামানুরকে গ্রেফতার করে। তার পর জানা যায় আরও অবাক করা ঘটনা। পুলিশ সূত্রে খবর, ইয়ামানুর একটি পথনাটক সংস্থার সঙ্গে যুক্ত। নাটকে ব্যবহার করার জন্য যে পুলিশের উর্দি নাটকের দলগুলির কাছে থাকে, তা পরেই ঘুরে বেড়াতেন ইয়ামানুর। নিজের পরিচয় দিতেন পুলিশ আধিকারিক হিসাবে। এ ভাবে আরও কোনও কুকর্ম করেছেন কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুলিশের অনুমান, এ ভাবে নিজেকে পুলিশ আধিকারিক বলে পরিচয় দিয়ে কম বয়সী মেয়েদের সঙ্গে প্রতারণা করতেন ইয়ামানুর। আদালত অভিযুক্তকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন