প্রতীকী ছবি।
সেনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার হয়ে যাচ্ছে পাকিস্তানে! জম্মু-কাশ্মীর ইউনিটের সেনা গোয়েন্দা সূত্রে খবরটা এসেছিল পঞ্জাব পুলিশের কাছে। খবরটা পেয়েই তড়িঘড়ি তদন্তে নামে অমৃতসরের স্টেট স্পেশাল অপারেশনস সেল (এসএসওসি)। রাজ্যেরই জালন্ধরের ফাজিলকা থেকে রাম কুমার নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে তারা।
পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তে নেমে তারা জানতে পারে ফাজিলকা থেকে কেউ এক জন পাকিস্তানের গোয়েন্দাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। শুধু তাই নয়, সেনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপনে পাচার করছে। তার পরই রাম কুমারকে গ্রেফতার করা হয়। রাম কুমারের কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোন এবং চারটে সিম কার্ড উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃত ব্যক্তি স্বীকার করেছে ভারত-পাক সীমান্তে ভারতীয় সেনার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, সীমান্তে সেনার গতিবিধি সংক্রান্ত খবর আইএসআই এজেন্টদের কাছে পৌঁছে দিত সে। কখনও সরাসরি, কখনও হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যেমে ওই তথ্য পাচার করত বলে জানিয়েছে রাম কুমার। আর এর বিনিময়ে মোটা টাকাও পেত সে।
আরও পড়ুন: দিল্লির ভিভিআইপি এলাকায় রাত কাটিয়েছিল জইশ প্রধান মাসুদ!
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের টাকায় সন্ত্রাসে মদত জোগানোর অভিযোগ, ফের সমন মিরওয়াইজকে
শুধু সেনার তথ্য পৌঁছে দেওয়াই নয়, ভারতের বিভিন্ন মোবাইল নম্বরও আইএসআই-এর হাতে তুলে দিয়েছে বলে জেরায় রাম কুমার স্বীকার করেছে বলে দাবি পুলিশের। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩,৪,৫,৯, ১২০-বি এবং ১৯২৩-এর অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট-এ ধৃতের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, শুধু রাম কুমারই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নাকি বড়সড় চক্র আছে এর পিছনে সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
২০১৮-র অক্টোবরে উত্তরপ্রদেশের মেরঠে সেনা ক্যান্টনমেন্ট থেকে পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে সেনারই সিগন্যাল রেজিমেন্টের এক জওয়ানকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেনার ওয়েস্টার্ন কমান্ডের তথ্য পাক গোয়েন্দাদের পাচার করার অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছিল অভিযুক্ত উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দা। দশ বছর ধরে সেনাবাহিনীতে ছিল।
(কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, গুজরাত থেকে মণিপুর - দেশের সব রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদেরদেশবিভাগে ক্লিক করুন।)