Udaipur Murder

‘মোটা’, ‘কালো’ বলে কটূক্তি! রাজস্থানে স্ত্রীকে জীবন্ত পুড়িয়ে খুনে স্বামীকে ফাঁসির সাজা দিল আদালত

শনিবার উদয়পুর জেলার বল্লভনগরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালত ওই ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। সঙ্গে ৫০,০০০ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৪:১৫
Share:

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

স্ত্রী তথাকথিত ‘সুন্দরী’ নন। চেহারা স্থূল। গায়ের রংও ফর্সা নয়। সেই ‘অপরাধে’ ২০১৭ সালে স্ত্রীকে জীবন্ত পুড়িয়ে খুন করেছিলেন স্বামী। রাজস্থানের উদয়পুরের ওই ঘটনায় আট বছর পর দোষীকে ফাঁসির সাজা শোনাল নিম্ন আদালত।

Advertisement

টাইম্‌স অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে উল্লেখ, শনিবার উদয়পুর জেলার বল্লভনগরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালত ওই ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। সঙ্গে ৫০,০০০ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম কিষাণদাস। বল্লভনগরের নভানিয়া গ্রামের বাসিন্দা কিষাণদাসের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল লক্ষ্মীর। তবে বিয়েতে খুশি ছিলেন না যুবক। স্ত্রীকে প্রায়ই ‘কালো’ এবং ‘মোটা’ বলে কটূক্তি করতেন তিনি।

ঘটনাটি ঘটে ২০১৭ সালের ২৪ জুন। সে দিন রাত ১১টা নাগাদ বাড়ি ফিরে কিষাণদাস লক্ষ্মীকে বলেন, তিনি এমন এক ‘ওষুধ’ নিয়ে এসেছেন, যা সারা শরীরে লাগালে ফর্সা হওয়া যাবে। এর পর স্ত্রীর পোশাক খুলে তাঁর শরীরে দাহ্য রাসায়নিকটি লাগিয়ে দেন কিষাণদাস। তারপর একটি জ্বলন্ত ধূপকাঠির সাহায্যে স্ত্রীর দেহে আগুন লাগিয়ে দেন। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ব্যাপক ভাবে পুড়ে যান ওই যুবতী। বেগতিক বুঝে অবশিষ্ট রাসায়নিকটুকুও তাঁর গায়ে ঢেলে দিয়ে এলাকা ছেড়ে চম্পট দেন কিষাণদাস।

Advertisement

শনিবার কিষাণদাসকে ফাঁসির সাজা শুনিয়েছেন বিচারক রাহুল চৌধুরি। বিচারকের মন্তব্য, ওই ব্যক্তি যা করেছেন, তা সমাজের বিবেককে নাড়িয়ে দিয়েছে। এটি একটি অত্যন্ত বিরল এবং জঘন্য কাজ বলেও মন্তব্য করেছেন বিচারক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement