দিনে দুপুরে দিল্লির কনট প্লেসের মতো এলাকায় শ্লীলতাহানির শিকার হলেন এক মহিলা অধ্যাপক। চুরি গিয়েছে তাঁর মোবাইল ফোনটিও। অভিযুক্ত এখনও অধরা। নির্ভয়া কাণ্ডের পরে এতগুলো বছর কেটে গেলেও রাজধানী নারীদের পক্ষে যে এখনও সুরক্ষিত নয়, এই ঘটনায় ফের তার প্রমাণ মিলল বলে মনে করছেন দিল্লিবাসীর একাংশ।
ঘটনা বৃহস্পতিবারের। বছর বত্রিশের ওই মহিলা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তিনি যেখানে কাজ করেন দুপুর দেড়টা নাগাদ সেখানে খাওয়ার বিরতি হয়। সে দিন সেই সময় তিনি ফোনে কথা বলতে ছাদে উঠেছিলেন। তাঁর সঙ্গে ছাদে ওঠে বছর চব্বিশ-পঁচিশের এক যুবকও। কিছু ক্ষণ পর ওই মহিলা খেয়াল করেন, তাঁর দিকে ঠায় তাকিয়ে রয়েছে সেই যুবক। তিনি খানিক ক্ষণ উপেক্ষা করার পরে ওই যুবককে জিজ্ঞেস করেন কিছু হয়েছে কি না। কিছু হয়নি বলেও সে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকে।
ওই মহিলার কথায়, ‘‘এর কিছু ক্ষণের মধ্যেই দেখি সে আমার দিকে এগিয়ে আসছে। আমার স্তনের দিকে হাত দেখিয়ে সে নিজের প্যান্ট খুলে ফেলে। তার পর অশালীন অঙ্গভঙ্গি করতে থাকে। আমি পালাতে গিয়ে দেখি, ছাদের দরজা সে বন্ধ করে দিয়েছে। এর পরই পিছন থেকে এসে ওই যুবক আমায় জড়িয়ে ধরে। আমি চিৎকার জুড়লে আমার মোবাইলটি ছিনিয়ে নিয়ে পাশের একটি ছাদে লাফ মেরে পালিয়ে যায় সে।’’ তত ক্ষণে ওই বহুতলের কিছু লোক ছাদে পৌঁছন। কিন্তু অভিযুক্তকে কেউই দেখতে পাননি।
ওই যুবকের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই অধ্যাপক। গত কাল ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে নিজের বিবৃতিও রেকর্ড করেন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবক যে মহিলাকে অনুসরণ করছে ওই বহুতলের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে তার প্রমাণ মিলেছে। কিন্তু যুবকের মাথায় হুড থাকায় তার মুখ দেখা যায়নি।